১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

নালিতাবাড়ীতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের উদ্যোগে ” ভুলি নাই ভুলবো না”স্লোগানে আলোচনা ও দোয়া আয়োজন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শাহাদত তালুকদারঃ

শেরপুরের নালিতাবাড়িতে ১২ আগস্ট বৃহস্পতিবার নালিতাবাড়ী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের উদ্যোগে ১৯৯৬ সালের ১২ আগস্ট যারা সড়ক দুর্ঘটনা নিহত হয়েছে তাদের জন্য আলোচনা ও দোয়ার আয়োজন করেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নালিতাবাড়ী প্রতিরোধ যোদ্ধার সভাপতি ফজলুল হক ফজল।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতা করেন নালিতাবাড়ী পৌরমেয়র আলহাজ্ব আবু বক্কর সিদ্দিক।

প্রিয় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্য আলহাজ্ব গোলাম ফারুক।

আরও উপস্থিত ছিলেন নালিতাবাড়ী প্রতিরোধ যোদ্ধার সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদি।

আলোচনা সভায় প্রায় ২০০ জন প্রতিরোধ যোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভাটি নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় অফিসে করা হয়।

 

১৯৯৬ সালের ১২ আগষ্ট আরো একটি শোকাবহ দিন নালিতাবাড়ি উপজেলা বাসির জন্য।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ১৫ আগষ্ট। সেই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র,যুবক সহ সর্বস্তরের মানুষ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। সারা বাঙলার ন্যায় নালিতাবাড়ী উপজেলার অনেকেই সেদিন বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে অস্ত্র হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ হালিম উকিল,বৈধ্য নাথ কর, গৌরাঙ্গ পাল, জসিম উদ্দিন, বাহাদুর শাহ, হায়দার আলী, বদিউজ্জামান বদি, ফজলুল হক,নিজাম উদ্দিন সহ অনেকে।

তাদের মাঝে আঃ হালিম উকিল,বৈধ্য নাথ কর ও গৌরাঙ্গ পাল কে সামরিক বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্র মামলায় সামরিক আদালতের মাধ্যমে জেলে বন্দি করে। তাঁরা দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দি জীবন কাটিয়েছেন।বন্দি জীবন কাটিয়েছেন তাদের মতো হাজারো প্রতিরোধ যোদ্ধা।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম সামরিক বাহিনীর কারণে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার প্রতিবাদকারী প্রতিরোধ যোদ্ধারা সামরিক সরকারের অত্যাচারে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করেছেন। তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য ঢাকায় দফায় দফায় বৈঠকে বসে প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের নেতারা।তারি ধারাবাহিকতায় নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অনেকেই সে দিন ঢাকাতে গিয়েছিলেন। বৈঠক করেছেন, ফিরছিলেন বাড়িতে কিন্তু ভালুকার অদুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সকলের বাড়ি ফেরা হয়নি।

নির্মম ভাবে নিহত হলেন বৈধ্য নাথ কর, জসিম উদ্দিন, গৌরাঙ্গ পাল, বাহাদুর শাহ,সংকর সাহা ও গাড়ি চালক তোফাজ্জল হোসেন।

১২ আগষ্ট রাতে খবর পেলাম ভালুকার সড়ক দুর্ঘটনার, রাতের মধ্যেই খবর ছড়িয়ে পড়লো মৃত্যু মিছিলের। কখনো খবর আসছে হায়দার আলী মাষ্টার ( আমার দাদার ভাই ) মারা গেছেন, একেক সময় একেক জনের নাম।

ভোর হলো, ততক্ষণে নিশ্চিত হওয়া গেছে কে মৃত্যু বরণ করেছেন।কে কে হাসপাতালে আছেন। সেদিন প্রকৃতি ছিল কান্না বৃষ্টিতে ভরপুর, মানুষের আবেগের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছিল আকাশ, বাতাস।প্রকৃতিও সেই কান্নার সাথে যোগ দিয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ফেলে কেঁদেছিলো।

আজ ১২ আগষ্ট তাদের ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী।১৯৯৬ সালে তাদের স্মৃতিকে কে চীর স্মরণীয় করে রাখার জন্য তাদের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে গঠিত হয় সবুজবাগ স্মৃতি সংসদ।

আলোচনা সভায় বক্তব্য সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন যারা প্রতিরোধ যোদ্ধা তাদেরকে যেনো মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।