৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বৃহস্পতিবার

নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক মর্যদার জন্য কাজ করতে হবে __মেয়র লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম আহাসানুর রহমান ইমন শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি:- যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, আমরা চাই নারীর অর্থনৈকিত মুক্তি, নারীর সামাজিক মর্যদা। নারীর সন্মিলিত একটি ঐক্যে প্রয়োসের মধ্যে দিয়ে বেনাপোল পৌরসভা থেকে শিক্ষা গ্রহন করে আমাদের নারীরা সন্মানিত হবে এটা আামাদের প্রত্যাশা। নারীকে বাদ দিয়ে কোন রাষ্ট্র এগোতে পারেনি। সমস্ত মর্যদাশীল বিত্তবান রাষ্ট্রগুলো যত আগে নারীকে সন্মান দিয়েছে মর্যদা দিয়েছে সেই রাষ্ট্র গুলো তত দ্রুত সন্মান ও মর্যদাশীল হয়েছে। কথাগুলো বললেন বেনাপোল পৌরসভা কনফারেন্স রুমে এডিবির সহযোগিতায় ইউজি আইআইপি- থ্রি প্রকল্পের সমন্বিত বৈঠকে সভাপতি মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় বেনাপোল পৌরসভা ভবনের কনফারেন্স রুমে মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আরবান ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিষ্ট (স ডাব্লিউ ইউ ডাব্লিউ) লাক্সমি, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার (ব আর এম) মো শহিদুল ইসলাম প্রজেক্ট স্পেশালিষ্ট ( সা আ ইউ ডাব্লিউ) চার্লিনি লিয়াও, প্রজেক্ট ডিরেক্টর রেজাউল ইসলাম ( ইউজি আই আই পি-২) এডিডিব কনসালটেন্ড মোঃ রফিকুল ইসলাম, বেনাপোল কাস্টমস এর অতিরিক্ত কমিশনার ড. নিয়ামুল হোসেন, বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি মামুন খান প্রমুখ।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় ইউজি আই আইপি – থ্রি প্রকল্পের কর্মকর্তারা বেনাপোল পৌর সভার স্বাস্থ্য কর্নার, নারী কর্নার, আইটি কর্নার ও স্পোর্টস কর্নার পরিদর্শন করেন। এবং এই পৌর সভার শ্রেষ্ট আত্ননির্ভরশীল নারী বুলিনা খাতুন ও শিউলি রানীর দে সরকারের দেওয়া পুরস্কার ও সনদপত্র দেখে খুশি হন। এবং ওই দুইজন নারীর সাথে তারা ছবি তোলেন। এছাড়া নারীদের হাতে তৈরীর কাজও দেখেন।

প্রধান অতিথি লাক্সমি শর্শা বেনাপোল পৌর সভার উন্নয়ন, এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা সহ নারী উন্নয়নের কাজ দেখে প্রশংশা করেন। তিনি বলেন এভাবে বেনাপোল পৌরসভা কাজ করে গেলে আমাদের সহযোগিতা পাবে। আমরা অঙ্গিকার করছি এই পৌরসভাকে আরো গতিশীল ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে যতটুটু সহযোগিতার প্রয়োজন ইউজি আইআইপি- থ্রি থেকে আমরা তা করব।

সভাপতির বক্তব্য মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আমরা কম সামর্থ ও কম সময়ের মধ্যে হেরে যাওয়া পিছিয়ে গড়া মানুষকে নিয়ে বেনাপোল পৌরসভায় মানুষকে নিয়ে কাজ করে যতটা এগিয়ে গেছি বাংলাদেশের কোন পৌরসভা তা করতে পারেনি। আমরা এতটুকু করতে পেরেছি আমাদের স্বদিচ্ছা আন্তরিকতা ছিল তার জন্য এগোতে পেরেছি। ইউজি আই আই – থ্রি মানুষের জন্য কাজ কিভাবে করতে হয় তা আমাকে শিখিয়েছে। আমি সেই আঙ্গিকে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন বেনাপোল পৌরসভা ২০০৬ সালে গঠিত। এবং ২০১১ সালে প্রথম নির্বাচনের মেয়র আমি। এর আগে ইউজি আই আই- ২ আমাদের বেনাপোল পৌরসবাকে ২০১০ সালে পাইলট প্রকল্প হিসাবে হাতে নিয়েছিল। সেই থেকে ইউজি আই আইপি -২ সাথে চলা তার সাথে বসবাস । তাই আমি এই প্রকল্পকে লালন করি মনে প্রানে বিশ্বাস করি। এটা এমন একটি প্রকল্প যে প্রকল্প শুধু ইনফেকস্টার তৈরী করে না ব্যবহার করতে শেখায়। দির্ঘ মেয়াদী করতে শেখায় । এই প্রকল্প মানুষের লেন দেন এর স্বচ্ছতা পর্যন্ত শেখায়। এই প্রকল্প মানুষের মস্তিস্কের সৌন্দর্য গঠন করে। একজন অপুর্ন মানুষকে কি ভাবে কাজ করতে হয় তা শেখায়।

বেনাপোল পৌরষভায় নারী কর্নার থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে আজ সাড়ে ৪ হাজার নারী আত্ননির্ভরশীল হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এই পৌরসভার বুলিনা খাতুন ও শিউলি রানী দেকে শ্রেষ্ট আত্ননির্ভরশীল নারী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বেনাপোল পৌরসভা ষাটর্দ্ধো মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। যেখানে রয়েছে একটি স্বাস্থ্য কর্নার। এই প্রকল্প সরকার দেখে আজ সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই পৌরসভায় রয়েছে ছিন্নমুল ও পথ শিশুদের জন্য ’ সুযোগ পেলে মানুষ হবো ” ছিন্নমুল স্কুল।এছাড়া মুজিব বর্ষে এই পৌরসভায় আরো ৮ টি ওয়ার্ডে ৮ টি ছিন্নমুল স্কুল প্রতিষ্টিত হয়েছে। বেনাপোল একটি সীমান্ত লাগোয়া শহর। এখানে হাত বাড়ালে পাওয়া যায় মাদক। সেখানে মাদক একেবারে নয় খেলা ধুলায় মিলবে জয় এ শ্লোগান নিয়ে পুলিশ, বিজিবির সহযোগিতায় আজ ৯০ ভাগ মাদক কমাতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের পৌর সভার একটি শ্লোগান যে একটি শিশু হেরে গেলে বেনাপোল হেরে যাবে। যার জন্য পৌরসভায় আইটি কর্নার হয়েছে। এখান থেকে কম্পিউটার শিখে অনেক ছেলে মেয়ে আজ নিজেরা স্বাবলম্বী। এখানে একটি ফ্রি ইংলিশ স্পিকিং কোর্স খোলা হয়েছে। এছাড়া গত দুই মাস আগে থেকে বিউটি পার্লার এর প্রশিক্ষন ও দেওয়া হচ্ছে। যাতে মেয়েরা স্বাবলম্বী হতে পারে।

ইউ জি আই আই পির সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার বি আর এম মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন , ইউ জি আই আই পির যে কাজ সে গুলো বেনাপোল পৌরসভা করে নজির স্থাপন করেছেন। আমরা এ ভাবে কাজ করলে বেনাপোল পৌরসভাকে আরো সহযোগিতা করব।

এডিডিব কনসালটেন্ড মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন , বেনাপোল পৌর মেয়র অত্যান্ত দক্ষতার সাথে বিচক্ষনতার সাথে যে ভাবে বেনাপোলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাতে তার সকল স্বপ্ন দ্রৃত বাস্তবায়ন হবে বলে আমি আশাবাদি।

প্রজেক্ট ডিরেক্টর রেজাউল ইসলাম ( ইউজি আই আই -২) বলেন সারা বাংলাদেশের ৩২৮ টি পৌর সভার মধ্যে বেনাপোল পৌরসভা অন্যতম। এই জনপদের জন্য আমরা কাজ করছি। এই অবহেলিত জনপদের উন্নয়ন হয়েছে মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায়।

বেনাপোল কাস্টমস এর অতিরিক্ত কমিশনার নেয়ামুল হোসেন বলেন, আমরা ষ্টক হোল্ডার হিসাবে এই পৌরসভায় কাজ করছি। তাতে বেনাপোল পৌরসভার যে কার্যক্রম দেখলাম তা দেখে আমি অভিভুত।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন আমি অনেক পৌরসভা দেখেছি কিন্তু এই পৌরসভার কাজ দেখে পৌরসভা মেয়র সহ সকলকে ধন্যবাদ জানচ্ছি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সহ টিএলসিসির সদস্যবৃন্দ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।