৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

ধামইরহাটে পল্লি পশু চিকিৎসকে হত্যার চেষ্টা, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বত্তরা। 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সন্তোষ কুমার সাহা, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের লাইফস্ট্রোক সার্ভিস প্রোভাইডারকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মারাত্মক আবস্থায় মিজানুর রহমান (৪০) প্রোভাইডার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুর্বৃত্তরা তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে,গত বরিবার রাতে উপজেলার শিবপুর মোড়ে জনৈক ব্যক্তির সাথে দেখা করতে যায়। দেখা করে বাড়ীতে ফেরার পথে আনুমানিক রাত্রি ৯ টার সময় বেনিদুয়ার মিশনের পার্শে মুক্তিযোদ্ধা গয়া এর বাড়ীর উত্তর পাশে পাকা রাস্তা সংলগ্ন আম বাগানের নিকট ৬ জন ব্যক্তি মুখে মুখোশ পরিহিত দুর্বৃত্তরা তার মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে পিছন থেকে মাথায় লোহার রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এরপর তার হাত,পা,চোখ বেঁধে ফেলে। এবং মুখে কাপড় গুজিয়ে দিয়ে বাগানের পূর্ব পার্শে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় হত্যার উদ্দেশ্যে। সেখানে নিয়ে গিয়ে দূবৃত্তরা মিজানুর রহমানের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এক সময় তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটিতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। রাতের আন্ধকারে রাস্তার পাশে আগুন দেখে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। সেখানে এসে এলাকাবাসী দেখেন একটি মোটরসাইকেল পুড়ছে। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসী মিজানুরকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার পুর্বক ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। মিজানুরের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালের বেডে মৃত্যু যন্ত্রনায় মিজানুর রহমান ছটপট করছেন। তিনি ধামইরহাট পৌরসভার হাটনগর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে লাইফস্ট্রোক এন্ড ডেইরী ডেভলোপমেন্ট প্রজেক্ট (এলডিডিপি) প্রকল্পের লাইফস্ট্রোক সার্ভিস প্রোভাইডার (এলএসপি) পদে কর্মরত রয়েছেন। এ ঘটনায় মিজানুর রহমানের স্ত্রী সালমা খাতুন জমিজমা সংক্রান্ত পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এঘটনার সুত্রপাত বলে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার সার্থে ওই ৬ জনের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

 

এ ঘটনায় ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল মমিন জানান, মিজানুর রহমানের স্ত্রী সালমা খাতুন থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধ আইনের সঠিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে।

 

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।