৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

ধামইরহাটে এক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ অসহায় একটি পরিবার  ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সন্তোষ কুমার সাহা,ধামইরহাট(নওগাঁ)প্রতিনিধিঃ

 

নওগাঁর ধামইরহাটের অসহায় এক ব্যক্তির খলিয়ান দখল নিতে ব্যর্থ হলে ৭ দিন যাবত অবরুদ্ধ করে রেখেছেন প্রভাবশালী একটি মহল। গ্রামের কয়েকটি পরিবারের মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে মসজিদে যাতায়াত করেন। অবরুদ্ধ পরিবেশে অস্থিরতা প্রকাশ করছেন লোকজন। অবরুদ্ধ পরিবার স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নিকট সুষ্ট বিচার না পেয়ে মানবেতর বন্দি জীবন যাপন করছেন। ভুক্তভোগী পরিবার এ ব্যাপারে ধামইরহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্র জানা যায়, উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের রসপুর গ্রামে মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে ইকবাল হোসেন তার বাড়ীতে দীর্ঘ ৩ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন এবং ওই বাড়ীর খলিয়ান দিয়ে প্রতিবেশীরা যাতায়াত করে।

সম্প্রতি প্রভাবশালী আহাদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী গং অসহায় কৃষক ইকবাল হোসেনের খলিয়ান দখল করে রাস্তা তৈরীর জন্য ইটের খোয়া বিছিয়ে দখলের চেষ্টা করলে ইকবাল হোসেন নিষেধ করে এবং বাঁধা দেয়। এতে মোহাম্মদ আলী গং ক্ষিপ্ত হয়ে ইকবাল হোসেনের বাড়ীর চারিধারে বাঁশ-খুটির বেঁড়া দিয়ে তাঁর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ইকবালের ছেলে শাকিল হোসেন বাহির থেকে বাড়ীতে প্রবেশ করতে চাইলে সন্ত্রাসী ওসমান, রোমান, নুর আলমসহ মোহাম্মদ আলীর লাঠিয়াল বাহীনি শাকিলকে ধাওয়া করে। এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আলী বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যায় এবং তিনি বলেন,‘আমার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত নিজ জমি বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছি, ইকবালের পরিবারকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগটি মিথ্যে। স্থানীয় খেলনা ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, একটি বাড়ীর চার দিক বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা ঠিক হয়নি। বর্তমান ওই পরিবারটি অবরুদ্ধ প্রায়।

বাড়ী অবরুদ্ধ রাখার বিষয়ে প্রতিবাদ করেন প্রতিবেশী রহিম বক্স।

এ বিষয়ে ৮ আগস্ট রাতে ইকবাল থানায় অভিযোগ করলে এ.এসআই শাজাহান আলী বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।