১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।সোমবার

দাও-নাই-কেন ” ?

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

  • মুফিজুল হক চৌধুরী,
  • মার ঘরে আমি মেম্বার,আমার বৌ চেয়ারম্যান;হায়! আমি বিয়া করলাম ক্যান?আমি বিয়া করলাম ক্যান ? শিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাসের গাওয়া গানের মাধ্যমে সংসারের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে ৷বিয়ে নতুন নতুন সবার কাছে “মধুরেণ সমপায়েৎ” ৷ তা এক-দু বছর মাত্র , তারপর বেরোতে থাকে “থলের বিড়াল” !

আমার আলোচনার শিরোনামে তিনটি শব্দ-‘দাও, নাই,কেন ‘ ,বিষয়টা নিয়ে একটু আলোকপাত করা যাক …
“দাও ”
বিয়ের প্রথম বছর-গাড়ি দাও, বাড়ি দাও, শাড়ি দাও,গয়না দাও, কসমেটিকস দাও, বাজার দাও, বেড়াতে যাওয়ার, হানিমুনের টাকা দাও, ইত্যাদি হাজারো দাও দাও । বৌয়ের এই হাজারো দাও দাও মেটাতে স্বামি বেচারার নাভিঃশ্বাস চরমে !
“নাই ”
বিয়ের দ্বিতীয় বছর – তেল নাই, নুন নাই, বাজার নাই, বাচ্চার দুধ নাই, ফ্রিজে মাছ-মাংশ নাই, অথিতির জন্য নাস্তা নাই, জামাকাপড় নাই, স্কুলের বেতন, বাচ্চার বই, প্রাইভেটের টাকা, ইত্যাদি হাজারো নাই শব্দ, আপনাকে গৃহে প্রবেশ করার পর থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত গিন্নির মুখ থেকে শুনতে হবে !
” কেন ”
বিয়ের তৃতীয় বছর-বাজার সদাই আনলেনা কেন, ওখানে গেলে কেন, ওদিকে তাকালে কেন, তোমার ভাই-বোনকে এটা ওটা দিলে কেন, আমার ভাইবোনকে এটা ওটা দিলে না কেন, কথা যেটা বলি সেটা শুন না কেন, সর্বোপরি এত কিছু দিবার যোগ্যতা না থাকলে বিয়ে করলে কেন ? ইত্যাদি লক্ষ-কোটি কেন দিয়ে সাজানো বৌয়ের শ্রুতি মধুর কথা মালা !
বেশির ভাগ সংসারের এই হাল ৷ নারী জাতি বরাবরই অবুঝ ৷কেউ না বুঝে বুঝে না ,আর কেউ বুঝে ও বুঝে না ৷ প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ আলফ্রেড মার্শাল এর সংজ্ঞা অনুযায়ি -” অভাব অফুরন্ত, সে তুলনায় সম্পদ শোচনীয়ভাবে সিমাবদ্ধ ; এই সিমাবদ্ধ সম্পদ দিয়ে সীমাহীন অভাব মোচনের প্রচেষ্টাকে অর্থনীতি বলে ৷” কিন্তু বৌয়েরা সেটা বুঝতে চায় না ৷স্বামির সামর্থ্য থাক বা না থাক, বিয়ে করেছো কেন ? সুতরাং আমি যা চাই তা-ই দিতে হবে ৷ না হলে সংসারে অশান্তি ৷ সংসারের সবদিক সামাল দিতে একজন স্বামির কী যে ত্রাহি মধুসুদন অবস্থা সেটা ভুক্তভোগি মাত্রই জানে । কিন্তু বৌয়েরা সেটা জানতে মোটে ও আগ্রহী নয় ৷
স্বামির আয় কত ? সংসারের ব্যয় কত ? ক্রমবর্ধমান সংসার খরচের যোগান দিতে স্বামি বেচারার প্রাণ ওষ্ঠাগত , কিন্তু সেদিকে অধিকাংশ স্ত্রীর দৃষ্টি নেই ৷ শুধু -“দাও-নাই- কেন ” এই তিনটি শব্দ তাদের মাথার ভিতর ঘুরপাক খেতে থাকে ৷ হে মহান প্রভু !তুমি এই অবুঝ , নির্দয়, অবিবেচক, অপরিনামদর্শি ,বাস্তববুদ্ধিহীন স্ত্রীদের সহীহ তথা সঠিক বুঝ দান করুন…!!

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।