১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

তজুমদ্দিনে খাল খননে মালিকানা বাগান ও ফসলি জমি কাটার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রায়হান কাজি তজুমদ্দিন(ভোলা) প্রতিনিধি।।তজুমদ্দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল খনন প্রকল্পের পঞ্চগ্রাম খালে মাটি কাটার সময় মালিকানা বাগান ও ফসলি জমি কাটার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। জোড়পূর্বক বাগান ও ফসলি জমি কাটার প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের লোক এবং ভেকু সর্দার জমির মালিকদের মাটিচাপা দেয়ার হুমকি দেয়। এ প্রকল্পে মাটি কাটার কাজে শ্রমিকের পরিবর্তে ব্যবহার করছে ভেকু।
সরেজমিনে ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর আওতায় পঞ্চগ্রাম খাল খনন প্রকল্প চলছে। ৫১ লক্ষ টাকায় ২১শ মিটারের এই খাল খনন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাওলাদার বিল্ডার্স, তজুমদ্দিন। প্রকল্পে খালের পুরনো নকশা অনুসরণ না করে মাটি কাটার সময় রেকর্ডিয় মালিকানা বাগান ও ফসলি জমি কেটে নিচ্ছেন জোড়পূর্বক। নষ্ট করছে মূল্যবান গাছ ও কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল। অভিযোগে তারা আরো জানান, সরকার কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন শ্রমিককে কাজে না লাগিয়ে খনন কাজে ব্যবহার করছেন ভেকু। এদিকে রেকর্ডিয় জমির মালিকরা বাগান ও ফসলি জমি কাটার প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের লোক ও ভেকু সর্দার মোঃ সেলিম এবং জাহাঙ্গীর জমির মালিকদের মাটিচাপা দেয়ার হুমকি দেয় বলে জানান আবুল কালাম, তাজল ইসলাম, ইয়াছিন, রতন মিয়া ও রিজিয়া বেগমসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। অসহায় বিধবা রিজিয়া বেগম (৬৫) বলেন, তাহের চেয়ারম্যান, রিয়াজউদ্দিনসহ ঠিকাদারীতে পার্টনারের লোকেরা আমার একমাত্র সম্পদ ১৬ শতাংশ সুপারি বাগান খাল কাটার নামে কেটে নিয়েছে, কোন ক্ষতিপূরণ পাইনি। সাবেক মেম্বার মোঃ শাজাহান (৬৫) বলেন, আমরা ঠিকাদারদের লোকদের জোড়-জুলুমের বিষয়ে চাঁচড়া চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে জাননোর পরেও কোন সমাধান পাইনি। জমির মালিক আবুল কালাম (৭০) বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কাজ চলাকালীন সময় সাইডে না থাকায় আমরা তাৎক্ষনিক কোন প্রতিকার পাইনি।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী কাজের পার্টনার রিয়াজ উদ্দিন মালিকানা কিছু জমি নষ্ট হচ্ছে স্বীকার করে বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের ১৬শ মিটার খাল খনন কাজ শেষ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন অনুযায়ী কাজ চলছে। কারা খাল দখল করে রেখেছে, আর কাদের জমি কাঁটা হচ্ছে সেই প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, ৬৪ জেলায় ছোটনদী, খাল ও জলাশয় পূনঃ খনন প্রকল্পের আওতায় প্রতি উপজেলায় একটি স্কীমের পঞ্চগ্রাম খাল পূনঃ খনন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পে পুরনো নকশা অনুসরণ করে ম্যানুয়েল লেভার শতকরা ৩০ ও স্কাবেটর শতকরা ৭০ ভাগ ব্যবহার করা হবে। তবে জমি অধিগ্রহণ করার কোন বরাদ্ধ নেই।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।