৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

ডুমুরিয়ার মঠবাড়িয়া মালোপাড়া ঘোরায়া সমিতির অর্ধকোটি টাকা অত্নসাতের অভিযোগ যুবক মনুর বিরোদ্ধে! 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরদার বাদশা  নিজস্ব প্রতিনিধি।

ডুমুরিয়ার চুকনগরের মঠবাড়িয়ায় ঘোরওয়া সমিতির সদস্যদের সঞ্চায়ের অর্ধকোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকাশ কুমার মনু (৩৫) নামের এক যুবকের বিরোদ্ধে।

এঘটনায় ভুক্তভোগী ৮৪০ জন সদস্য তাদের সঞ্চায়ের টাকা ফেরৎ পেতে ডুমুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও সমিতির সদস্যগণ মনুর বাড়ি ঘেরোয়া করে টাকা তাদের পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেন।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া মালোপাড়ার পিং মৃত বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের ছেলে প্রকাশ কুমার বিশ্বাস মনুর বাড়ির সাথে একটি মুদির দোকান রয়েছে। সে অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মহাল্লার বিভিন্ন শেণির পেশার দুই শতাধিক মানুষকে সমিতির অন্তর্ভুক্ত করেন। সমিতির নাম দেয়া হয় মঠবাড়িয়া মালোপাড়া পল্লী যুব উন্নয়ন সমবায় সমিতি।

যার মোট সদস্য সংখ্যা ৮৪০। দীর্ঘ একযুগ অতিবাহিত হয়ে চলতি বছরে সমিতির মেয়াদ শেষ হয়।

এদিকে স্বস্ব সদস্যদের সঞ্চয়ী বইয়ের চুড়ান্ত হিসাব করে স্বস্ব বইয়ের মোট প্রাপ্য টাকার কথা উল্লেখ করে, স্বাক্ষর করেছেন, সমিতির নেতা প্রকাশ কুমার মনু। যাহা ৮৪২ সদস্যের লাভ্যাংশ ও সঞ্চিত মোট সঞ্চিত টাকার পরিমান ৫০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।

কিন্তু দীর্ঘদিন সদস্যদের সঞ্চিত টাকা ফেরৎ না দিয়ে সে নানা টালবাহানা করিতেছেন, বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী সমিতির সদস্য শংকর বিশ্বাস, নারায়ণ বিশ্বাস, দীলিপ বিশ্বাস,অসীম বিশ্বাস, পঙ্কজ বিশ্বাস, মমতা বিশ্বাস, অঞ্জলি বিশ্বাস,সুচিত্রা জৌতি বিশ্বাস, পবিত্রা বিশ্বস, গোপাল বিশ্বাস, গোবিন্দ বিশ্বাস, সমিরণ বিশ্বাস সহ উপস্থিত প্রায় পাঁচ শতাধিক নারি পুরুষ

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক জানান, সমিতির সঞ্চিত টাকা নিয়ে মনু নানা টালবাহানা করছেন। সঞ্চিত টাকা ফেরৎ পেতে আমরা ডুমুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

অভিযুক্ত সমিতির নেতা প্রকাশ কুমার মনু জানান,

সমিতির কোন নিবন্ধন নাই। অনেক দিন ধরে সমিতির কার্যক্রম চালিয়ে আসছি কোন সমস্যা হয়নি।

অনেক সদস্যর টাকা পরিশোধ করেছি। আবার কিছু সদস্য টাকা পাবে। সে টাকা ফেরৎ দেয়ার চেষ্টা করছি।

অভিযোগ তদন্তকারি কর্মকর্তা ওসি অপারেশন তদন্ত সঞ্জয় দাশ জানান, অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি।

উভয় পক্ষের সাথে আলাপ হয়েছে তারা স্থানীয় ভাবে একটি আপোষ মিমাংসা করে থানাকে অবহিত করবেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।