৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

টুইস্ট বন্ধ হোক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মো: সাহেদ॥

মিডিয়ার প্রতি আমার অন্যরকম একটা ভালোবাসা আছে, চোরাটান আছে- হোক সেটা অনলাইন বা অফলাইন। মিডিয়ায় যখন আমাকে নিয়ে ইতিবাচক কোনো রিপোর্ট হয় তখন অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। সরল স্বীকারোক্তি হচ্ছে- আসলে আমি এখনও সাধারণ হতে বিশেষ হয়ে উঠতে পারিনি। তাই এই ছোটোছোটো জিনিসেও অপার আনন্দে ভাসি।

গতকাল একটি অনলাইন পত্রিকায় আমাকে নিয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেহেতু বিশেষ হয়ে উঠতে পারিনি, তাই প্রতিবেদনটা পড়ে যতটা অবাক হয়েছি কষ্ট পেয়েছি তারও বেশী। একবার ভাবলাম প্রতিবাদ করি, কারণ দর্শানো নোটিশ দেই, আইনগত ব্যবস্থা নেই। কিন্তু চিরজীবনই এসব ঝুটঝামেলা এড়িয়ে চলতে পছন্দ করি, তাই আমার আর কিছুই করা হলোনা। অবশ্য, ঝানু রাজনীতিক হলে প্রতিবেদনটি উপভোগ করতাম, একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক ব্যক্তিগত আলাপ চারিতায় শিখিয়েছিলেন, ‘নিউজ ইজ নিউজ, গুড অর ব্যাড।’

সবারই একটা অতীত থাকে, বর্তমানের মূহুর্ত গুলো ভবিষ্যত বিনির্মাণ করে অতীতে পরিণত হয়। আমারও অতীত আছে। আমার অতীত নিয়ে অবশ্যই সংবাদ প্রকাশ করা যেতে পারে, ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশেও আপত্তি নেই। কিন্তু খন্ডিত আর টুইস্ট করে আমার অতীত কেনো, যে কোনো কর্মকাণ্ড প্রকাশেই আপত্তি রয়েছে। তাতে সত্যটাও প্রকাশিত হয়না, আবার মিথ্যাটাও ঠিকমত বলা যায়না।

আমার খুব কাছের কয়েকজন সাংবাদিক, যাদের আমি ছোট ভায়ের মত দেখি, তারাও আমাকে বড় ভায়ের মত দেখে- তাদের সাথে আমার সরল সম্পর্ক। তাদের কেউ কেউ কেনো যে আড়াল থেকে এসব সংবাদ প্রকাশ করে আনন্দ পায় জানিনা। জানবার চেষ্টাও করিনি কখনও। তাদের মধ্যেই কারো কারো অনুরোধ ছিলো, আমার বিষয়ে উথ্থাপিত তথাকথিত অভিযোগগুলোর উত্তর যেনো আমি সরাসরি ফেসবুকে প্রকাশ করে দেই।

বেশ আগেই আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগের জবাব যাবতীয় প্রমাণসহ আপনাদের কাছে প্রকাশ করেছিলাম, ভাগ্যিস জাকারবার্গের ফেসবুক ছিলো। সেই পোস্টের কল্যাণে আমার ঘণিষ্টজনদের মত আপনারা জানলেও পিছনে লেগে থাকা সাংবাদিকরা তাদের প্রতিবেদনে জানায় না- কতটা একনিষ্ঠতা নিয়ে আমি আমার ব্যবসা গড়ে তুলেছিলাম। তিলে তিলে গড়ে তোলা ব্যবসা শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কেমন করে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কেমন করে বিএনপি’র নীতিনির্ধারকরা আমাকে জিম্মি করে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন চালিয়ে আমার জাহাজ অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে আক্ষরিক অর্থেই দখল করে নিয়েছিলো।

এই সকল প্রতিবেদনে কখনও বলা হয়না, এক-এগারোর সময়ে সম্পূর্ণ বিনাদোষে জেল খাটানো হয়েছে আমাকে। আমার পরিবার-পরিজন কি দুর্বিষহ দিন কাটিয়েছে। প্রতারকের তকমা লাগানোর কাজে এসব বললে হয়তো সমস্যা হয়, জোশ আসেনা।

সবাই ভুললেও তো আমি ভুলবো না- ওয়ান ইলেভেনের পরে জেল থেকে বের হলাম সম্পূর্ণ নি:স্ব হয়ে। পেছনে দু:সহ অতীত, বর্তমান দিশাহীন, ভবিষ্যত অন্ধকার। যে বিপুল স্বচ্ছলতার মধ্য দিয়ে জীবন কাটিয়ে এসেছি, সেখানে আমার মেয়ে ও স্ত্রী মাত্র ১২০০ টাকার একটা জিনিস কিনতে চেয়েছিলো, সে সামর্থ্যও আমার ছিলোনা। জিনিস কিনে দিতে পারিনি, আর চোখের পানিও আটকে রাখতে পারিনি। এই একটা মাত্র জীবনে কতকিছু যে পারা হলোনা!

আমাকে বিএনপি’পন্থী প্রমাণে অনেকের সুবিধা হয়। আপনারা জানলেও তারা জানেনা যে, আমার মা আমৃত্যু জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদিকা ছিলেন। আওয়ামী রাজনীতির মধ্য দিয়েই আমার রাজনীতিতে হাতেখড়ি আর বেড়ে ওঠা। ডিগবাজি দিতে জানলে হয়তো অন্যরকমও হতে পারতো- অনেক ক্ষমতা! অনেক যশ! অনেক প্রতিপত্তি! আবার নির্বাচনে অংশগ্রহনের টিকিট নিচ্ছি বলে যারা ভাবছেন, সত্যিকার অর্থেই ক্ষমতার প্রতি আকর্ষণ নেই। জীবনে ক্ষমতাবান হবার আগ্রহটাই তৈরী করতে পারলাম না, ঐ যে বললাম — এই একটা মাত্র জীবনে কতকিছু যে পারা হলোনা!

প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা কোন লিঙ্ক শেয়ার করবেন বা করবেন না- সে স্বাধীনতা সম্পূর্ণ আপনাদের। তবে, আমাকে অপরাধী ভাবলে আমাকে জানিয়ে বা অজান্তেই আনফ্রেন্ড করতে পারেন। আর সংবাদটি বিশ্বাস না করলে লিঙ্ক শেয়ারও বন্ধ রাখতে পারেন- যা আপনাদের অভিরুচি। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কারণ বিশেষ হয়ে উঠলে হয়তো এসব অপপ্রচার গায়ে লাগতো না, খুব সাধারণ আর আবেগী বলেই গায়ে লাগে, মনে লাগে।

ঘণিষ্টজনরা জানেন, এখনো লিভারের রোগে ভুগছি। জন্মের মত মৃত্যুও অমোঘ। ক্ষমা করবেন, অনেক কথা বললাম। মহান আল্লাহ আপনাদের নেক হায়াৎ দান করুন। জীবন হোক সুন্দর আর আনন্দময়, বিষাদের ছায়া সরে সরে যাক।

মো. সাহেদ, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব, লেখক ও শিল্পপতি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।