৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

জয়ের হাত ধরেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উন্নয়ন ও অর্জনের স্থপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে “জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান ডিজিটাল প্রযুক্তি: পথিকৃৎ মুজিব হতে সজীব” শীর্ষক ওয়েবিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ আশা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিমুখী অভিযাত্রা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সততা, নিষ্ঠা এবং দক্ষতার সাথে সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবতায়নের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মহামারি করোনায় যখন থমকে গেছে গোটা বিশ্ব তখন একের পর এক লকডাউনে স্থবির সরকারি সেবা আর ব্যবসা-বাণিজ্য। এখন আমরা বুঝেছি ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে কী? করোনাকালে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ প্রতিটি খাতে তথ্যপ্রযুক্তির জাদুকরী স্পষ্ট অনুভব করেছে বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘করোনাজনিত ছন্দপতনের মাঝেও ডিজিটাল সেবায় দেশের জনগণ পেয়ে যাচ্ছে গতিময় সেবা। কোন কিছুই থেমে নেই, এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল সেবার আওতায়।’

সজীব ওয়াজেদ জয়কে এক নির্মোহ, নিবেদিত প্রাণ, দেশপ্রেমিক এবং স্বপ্নবান বিজ্ঞানী বলে অভিহিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাকে নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত গর্ববোধ করি, আর আইসিটি খাতের এ পরিবর্তনের নীরব স্থপতি সজীব ওয়াজেব জয়।’

তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচনের ম্যানিফেস্টোতে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন ঘোষণা করা হয়েছিলো তখন মানুষ এ নিয়ে নানান ব্যঙ্গ করেছিলো। ব্যঙ্গ করে বলতো‑ ডিজিটাল বাংলাদেশ আবার কী?’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ মাত্র একযুগের ব্যবধানে এদেশের মানুষকে বুঝাতে হয় না, মানুষ উল্টো বুঝিয়ে দিচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে কী?’

তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ আর একযুগ আগের বাংলাদেশ এক নয়। আমরা এখন নতুন বাংলাদেশের বাসিন্দা, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ এখন পারমানবিক ও স্যাটেলাইট বিশ্বের সদস্য।’

তিনি বলেন, ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ আজ জয় করেছে অসীম সম্ভাবনার সুনীল সমুদ্রসীমা, বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পিতার অর্জনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুস্পষ্ট অভিলক্ষ্যে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আর এ লক্ষ্য অর্জনের প্রভাবক হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। প্রযুক্তির বদলে যাওয়া হাওয়া যে জাতি ধরতে পেরেছে তারাই এগিয়েছে টেকসই উন্নয়নের গতিময় পথনকশা ধরে।আর এখানেই দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। যিনি ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেছেন “রোয়ারিং টাইগার ” হিসেবে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারকে নিয়ে নানান মিথ্যাচার করছে কিন্তু শেখ হাসিনার পুত্র -কন্যা নিজ নিজ যোগ্যতা ও অধিক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, তারা হাওয়া ভবনের মতো বিকল্প কোথাও কোন ক্ষমতা কেন্দ্র বা সরকারের কোন কাজে হস্তক্ষেপ করে বাধা সৃষ্টি করেনি। যা বিএনপির শাসনামলে ছিলো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ আবারও বলেন, ‘এখন কোন রাজনীতি নেই, এখন রাজনীতি হচ্ছে মানুষকে বাঁচানো এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো।’

দেশের মানুষকে বাঁচাতে মানুষের সুরক্ষায় এখন দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসারও আহবান জানান তিনি।

দেশ ও জনগণের এই সংকট বিএনপি এখনও অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে যাচ্ছে অবিরাম।

ওবায়দুল কাদের বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, মানুষ বেঁচে না থাকলে কাকে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি?

ওবায়দুল কাদের আবারও বিএনপিকে এই সংকটকালে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরও সংযুক্ত ছিলেন উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ডক্টর হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মুনাজ আহমেদ নূর।

ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।