১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

জাফলংয়ে বিএসএফ’র গুলি: ৩ পাথর শ্রমিক আহত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সিলেট প্রতিনিধি:সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পাথর কোয়ারীর জিরো পয়েন্ট ও ভারতীয় অভ্যন্তর থেকে পাথর আনতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে ৩ পাথর শ্রমিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় বিএসএফ একটি পাথরবাহী নৌকাও ধরে নিয়ে যায়।

শনিবার (২৯ জুন) রাত আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে পুলিশি গ্রেপ্তার কিংবা আইনি জটিলতা এড়াতে গুলিবিদ্ধ এসব পাথর শ্রমিকরা সরকারী কিংবা স্থানীয় কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন না বলে জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি তরফ থেকেও স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছেনা। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।

ভারতীয় বিএসএফ’র গুলিতে আহত ৩ পাথর শ্রমিকরা হলো- জাফলং রহমতপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র মো. আব্দুর রহমান (২৭), একই গ্রামের হবি মিয়ার পুত্র শফিকুল ইসলাম (৩০), মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫)।

স্থানীয় শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জাফলং পাথর কোয়ারীর জিরো পয়েন্ট এবং ভারতীয় অভ্যন্তরে বিপুল পরিমাণ পাথর মজুদ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে বিজিবি এবং পুলিশের নিযুক্ত একাধিক দালালদের মাধ্যমে প্রতি রাতে নৌকাপ্রতি ১২শ থেকে ১৫শ টাকা হারে বখরা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জিরো পয়েন্ট পেরিয়ে ভারত অভ্যন্তর থেকে পাথর আহরণ করতে যায় খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দিবাগত রাত ২টা ৩০মিনিটের দিকেও শতাধিক নৌকা বিজিবি ও পুলিশ নিযুক্ত দালালদের বখরা দিয়ে পাথর আনতে ভারতে প্রবেশ করে। এসময় ভারত অভ্যন্তর থেকে পাথর লোটের বিষয়টি দেখে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে পাথর উত্তোলনের বাঁধা দেয়। তখন শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পাথর উত্তোলন করতে লাগলে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে ৩জন পাথর শ্রমিক গুরুত্বর আহত হয়।

এ ব্যাপারে শ্রমিক নেতা হানিফ মিয়ার বলেন, শ্রমিকরা পেটের দায়ে পাথর তুলতে যায়। প্রতি রাতে বিজিবি ও পুলিশের নামে টাকা দিয়েই পাথর আনতে যায় জাফলং পাথর কোয়ারীর নিরীহ পাথর শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প কমান্ডার বাবুল আহমদ এবং এফএস’র সদস্য বাদল মিয়া বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে তামাবিল কোম্পানি কমান্ডার হুমায়ন কবির জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি কিন্তু বিস্তারিত জানতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে যোগাযোগ করলে ভালো হবে।

বক্তব্যের জন্য বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসারের ব্যবহৃত মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, সীমান্তে পাথর উত্তোলনকালে বিএসএফ কর্তৃক গুলি বর্ষণের খবর শুনেছি। তবে আহতদের কোন তথ্য আমার কাছে নেই।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।