মোঃ আলমগীর হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি,,
চুয়াডাঙ্গায় এখন থেকে আর বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের সমস্যা হবে না। সমাধান করা হয়েছে দীর্ঘদিনের লো-ভোল্টেজ সমস্যার। সরাসরি ঝিনাইদহ থেকে জাফরপুর সাব স্টেশনে বিদ্যুৎ আসবে।
চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ময়নুদ্দিন বলেন, আগে ভেড়ামারা থেকে কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ ও ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরে ১৩২/৩৩ কেভি সাব স্টেশনে বিদ্যুৎ আসতো। এখন থেকে সরাসরি ভেড়ামারা থেকে ঝিনাইদহে বিদ্যুতের ২৩০/১৩২ কেভি সাব স্টেশন চালু হওয়ায় ঝিনাইদহ থেকে সরাসরি চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎ আসবে।
চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ময়নুদ্দিন আরও বলেন, ‘সাধারণত বিকেল ৫টার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পিক আওয়ার ধরা হয়, কেননা এই সময়ে বিদ্যুতের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি থাকে। আগে পিক আওয়ারে চুয়াডাঙ্গা ৩৩ কেভি বিদ্যুতের গ্রিডে পাওয়া যেতো ২৬-২৭ কেভি। আবার পিক টাইম শেষ হয়ে গেলে আস্তে আস্তে যখন বিদ্যুতের ব্যবহার ও চাপ কমতে থাকে, তখনই মূলত অফ পিক টাইম। ওই সময়গুলোতে সাধারণত ২৯-৩০ কেভি বিদ্যুৎ পাওয়া যেতো। এখন সেখানে পিক আওয়ারেই ৩১ কেভি বিদ্যুৎ পাচ্ছি আমরা। মোটামুটি আগের থেকে ৪ বা ৫ কেভি বিদ্যুৎ বেশি পাচ্ছি আমরা।
সেজন্য এখন আর লো-ভোল্টেজের সমস্যা হবে। বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান যেমন বঙ্গজ, আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিফট, পৌরসভার পানির পাম্প, অটোরাইসমিল ভালোভাবেই চলবে। পিক আওয়ারে বা অফ পিক টাইমেও এগুলো চলবে। বাসা-বাড়িতেও ফ্রিজ বা অন্য কিছুর জন্য লো-ভোল্টেজ থাকছে না।’
ঝিনাইদহ পিজিসিবি ২৩০/১৩২ কেভি সাব স্টেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, আগে ভোড়ামারা থেকে কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহে বিদ্যুৎ আসত।
ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গা ১৩২ কেভি পাঠানো হতো। অনেক দূর থেকে হওয়ায় কিছুটা কম বিদ্যুৎ পেতো চুয়াডাঙ্গা সাব গ্রিড। তবে ঝিনাইদহে পিজিসিবির ২৩০/১৩২ কেভি বিদ্যুৎ সাব স্টেশন হওয়ায় সরাসরি ভেড়ামারা থেকে ঝিনাইদহে বিদ্যুৎ আসবে এবং চুয়াডাঙ্গা পাবে। সেজন্য এখন থেকে আশা রাখছি, চুয়াডাঙ্গাতে বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ থাকবে না।
Leave a Reply