৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

চুকনগরে পচা কাঁদামাটি রাস্তায় রাখায় জনদূর্ভোগে আছে ৬০ পরিবার।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিনিধি ,সরদার বাদশা।

 

 

খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গোলাম রোডে পানি নিষ্কাশনের খালের কাঁদামাটি ইটের সোলিং উপর রাখায় জনদূর্ভোগে আছে প্রায় ৬০-৭০টি পরিবার। এলাকা বাসির দাবি জরুরী ভিত্তিতে গোলাম রোডের রাস্তা উপরে রাখা খাল খননের কাঁদা মাটি দ্রুত আপসারন করা।

ভুক্তভোগীরা জানান গত (১,২,৩ইআগষ্ট,২১)থেকে নরনিয়া শোলাকুড় ও হাতিপোতা ডাঙ্গির বিলের জলাবদ্ধ সৃষ্ট পানি নিষ্কাশনের জন্য এলাকার কৃষক সহ আপামর জনতা সেচ্ছায় খাল পুনঃ খননের উদ্যোগ নেয়। এবং তারই ধারাবাহিকতায় ১লা আগস্ট থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে উক্ত খালটি পুনুঃ খনন করে।

খাল খননের পচা মাটি রাস্তার উপরে রাখার কারণে জনদূর্ভোগ পড়েছে গোলাম রোডের ৬০- ৭০ টি পরিবারসহ স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরা।

 

১৩ দিন আগে খালের পচা কাঁদা মাটি কেটে গোলাম রোডের উপরে রাখা হয়। গোলাম রোডের সাথে আছে মালিহা পাবলিক স্কুল, মডেল মহিলা কলেজের ছাত্র ছাত্রী-সহ প্রতিদিন হাজার হাজার জনসাধার চলাচল করে।

বর্তমানে রাস্তার উপরে রাখা কাদা মাটি রাখার কারণে ওই এলাকার জনসাধারণ এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। জনসাধারণের দাবী দ্রুত রাস্তার পচা কাদামাটি অপসারণ করে যতায়াত এর ব‍্যাবস্তা করা হোক।

ঘটনা সত্যতা দেখতে

১১ই আগস্ট বিকাল ৫টায়

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ ঘটনা স্হল পরিদর্শন করেন।এসময় উপস্হিত ছিলেন

উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ,কৃষিবিদ মোসাদ্দেক হোসেন,আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ্যড প্রতাপ কুমার রায়। তিনি এসময় স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান কে নির্দেশ দেন চুকনগর গোলাম রোডে খাল খননের কাঁদামাটি দ্রুত অপসারণ করে জনসাধারণের যাতায়াতে উপযোগী করতে।

এ ব্যাপারে স্হানীয় চেয়ারম্যান এ্যড প্রতাপ কুমার রায় বলেন কাঁদামাটি নরম থাকায় দ্রূত অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না তবে দ্রুত অপসারণ করা হবে।

এর আগে সকাল ১১ টায় ঘঠনা স্হল পরিদর্শন করেন খুলনা জেলা আওয়ামীলীগ এর সহ- সভাপতি অধ্যক্ষ এ বি এম শফিকুল ইসলাম,চুকনগর বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রহ্লাদ ব্রহ্ম,বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

এ বি এম শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান স্থানিয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গোলাম রোড থেকে পচা কাঁদামাটি অপসারণ করে গোলাম রোডের চলাচলে উপযোগী হয় সে ব্যাবস্থা করতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ বলেন

পানি নিষ্কাশনের খালটি দখল করে রেখেছে এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা দেখা যায় পানি নিষ্কাশনের খালের উপর দখলে নিয়ে পাকা ঘরসহ বহুতল ভবন নির্মান করে দির্য়দিন ভোগ দখল করে আসছে।

যে কারণে অত্র এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি উদ্ধার পূর্বক উপজেলা সার্ভায়ার দ্বারা সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ স্হপনা উচ্ছেদ করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।