নিজস্ব প্রতিনিধি ,সরদার বাদশা।
খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গোলাম রোডে পানি নিষ্কাশনের খালের কাঁদামাটি ইটের সোলিং উপর রাখায় জনদূর্ভোগে আছে প্রায় ৬০-৭০টি পরিবার। এলাকা বাসির দাবি জরুরী ভিত্তিতে গোলাম রোডের রাস্তা উপরে রাখা খাল খননের কাঁদা মাটি দ্রুত আপসারন করা।
ভুক্তভোগীরা জানান গত (১,২,৩ইআগষ্ট,২১)থেকে নরনিয়া শোলাকুড় ও হাতিপোতা ডাঙ্গির বিলের জলাবদ্ধ সৃষ্ট পানি নিষ্কাশনের জন্য এলাকার কৃষক সহ আপামর জনতা সেচ্ছায় খাল পুনঃ খননের উদ্যোগ নেয়। এবং তারই ধারাবাহিকতায় ১লা আগস্ট থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে উক্ত খালটি পুনুঃ খনন করে।
খাল খননের পচা মাটি রাস্তার উপরে রাখার কারণে জনদূর্ভোগ পড়েছে গোলাম রোডের ৬০- ৭০ টি পরিবারসহ স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরা।
১৩ দিন আগে খালের পচা কাঁদা মাটি কেটে গোলাম রোডের উপরে রাখা হয়। গোলাম রোডের সাথে আছে মালিহা পাবলিক স্কুল, মডেল মহিলা কলেজের ছাত্র ছাত্রী-সহ প্রতিদিন হাজার হাজার জনসাধার চলাচল করে।
বর্তমানে রাস্তার উপরে রাখা কাদা মাটি রাখার কারণে ওই এলাকার জনসাধারণ এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। জনসাধারণের দাবী দ্রুত রাস্তার পচা কাদামাটি অপসারণ করে যতায়াত এর ব্যাবস্তা করা হোক।
ঘটনা সত্যতা দেখতে
১১ই আগস্ট বিকাল ৫টায়
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ ঘটনা স্হল পরিদর্শন করেন।এসময় উপস্হিত ছিলেন
উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ,কৃষিবিদ মোসাদ্দেক হোসেন,আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ্যড প্রতাপ কুমার রায়। তিনি এসময় স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান কে নির্দেশ দেন চুকনগর গোলাম রোডে খাল খননের কাঁদামাটি দ্রুত অপসারণ করে জনসাধারণের যাতায়াতে উপযোগী করতে।
এ ব্যাপারে স্হানীয় চেয়ারম্যান এ্যড প্রতাপ কুমার রায় বলেন কাঁদামাটি নরম থাকায় দ্রূত অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না তবে দ্রুত অপসারণ করা হবে।
এর আগে সকাল ১১ টায় ঘঠনা স্হল পরিদর্শন করেন খুলনা জেলা আওয়ামীলীগ এর সহ- সভাপতি অধ্যক্ষ এ বি এম শফিকুল ইসলাম,চুকনগর বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রহ্লাদ ব্রহ্ম,বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
এ বি এম শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান স্থানিয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গোলাম রোড থেকে পচা কাঁদামাটি অপসারণ করে গোলাম রোডের চলাচলে উপযোগী হয় সে ব্যাবস্থা করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ বলেন
পানি নিষ্কাশনের খালটি দখল করে রেখেছে এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা দেখা যায় পানি নিষ্কাশনের খালের উপর দখলে নিয়ে পাকা ঘরসহ বহুতল ভবন নির্মান করে দির্য়দিন ভোগ দখল করে আসছে।
যে কারণে অত্র এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি উদ্ধার পূর্বক উপজেলা সার্ভায়ার দ্বারা সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ স্হপনা উচ্ছেদ করা হবে।
Leave a Reply