৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

চট্রগ্রামঃ কর্ণফুলী ব্রীজে যাত্রী হয়রানী চরমে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চট্রগ্রামঃ
কর্ণফুলী ব্রীজে যাত্রী হয়রানী চরমে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম।
♦জসিম মাহমুদ♦
দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার কর্ণফুলী ব্রীজ। এই পথে দৈনিক লক্ষ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করে। প্রতিনিয়ত এখানে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। এই যাত্রী হয়রানীতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে ভুক্তভোগী মহল।
সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজারগামী নানা কোম্পানীর গাড়ী সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি করলেও ট্রাফিক পুলিশের কোন প্রকার ভ্রুক্ষেপ নেই। এছাড়া বরমা-বরকল, আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া, সাতকানিয়া ও বান্দরবানগামী বাস সড়কের মাঝে যাত্রীর অপেক্ষায় দাড়িয়ে যানজটকে আরো তীব্র করে তুলছে। সড়কের মাঝখানে গাড়ী রেখে চালক আয়েশ করে চা পান করছে আর হেলপার ব্যাস্ত যাত্রী উঠাতে। পিছনের গাড়ী বিরামহীন হর্ণ বাজাচ্ছে ফলে শব্দ দূষণের যন্ত্রণায় ভুগছে যাত্রীরা। গন্তব্যে যাওয়ার অপেক্ষায় যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সব সময় গাড়ীর চালকরা এইখানে গাড়ীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার দুই-তিন গুণ ভাড়া আদায় করে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার আসলে ভাড়া রেড়ে হয় তিন-চার গুন। একদিকে যেমন যাত্রীর ভিড় অপরদিকে গাড়ীর জট দুইটি মিলে বাড়িয়ে দিচ্ছে দুর্ঘটনা। দৈনিক ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটলেও অনেক সময় প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটে। ২০১৮ সালে এই পর্যন্ত ১০টি তাজা প্রাণ হারিয়েছে কর্ণফুলী ব্রীজ সংলগ্ন এই গোল চত্বরে। ভাড়া নিয়ে গাড়ীর চালক-হেলপার ও যাত্রীদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ নিত্যদিনের ব্যাপার। এই ঝগড়া কখনো কখনো মারমারিতেও পরিণত হয়। এমন কোন দিন নেই দুই-চার জন যাত্রী গাড়ী শ্রমিকদের হাতে নাজেহাল হচ্ছে না। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ এতসব অব্যবস্থাপনার দিকে সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের কোন প্রকার ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা ব্যস্ত টোকেন বাণিজ্য ও চাঁদা আদায় করায়। কিছু সচেতন যাত্রী অভিযোগ করলেও ট্রাফিক পুলিশ তা কানে নেয় না। ট্রাফিকদের সাথে গাড়ী শ্রমিকদের যেন দহরম-মহরম সম্পর্ক। এই ব্যাপারে ভুক্তভোগি যাত্রীরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ জরুরী মনে করছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।