দারিদ্রের নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মোঃ জাহাঙ্গীর মোল্যা (৩৮)। তিনি পেশায় একজন ভ্যান চালক। চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ভ্যান কিনেছেন। করোনায় কাজ বন্ধ। ভয়ে ভ্যানে যাত্রী উঠে না। গত এক মাস ঘরবন্দী হয়ে পরিবার নিয়ে অনাহারে- অর্ধাহারে দিন যাপন করছেন।
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত আতিয়ার মোল্যার ছেলে। রাতে ঘুমানোর জায়গা না থাকায় প্রতিবেশি মো: রাশেদ মন্ডলের বাড়িতে যাত্রি যাপন করেন ওই তিন মেয়ে।
অস্বচ্ছলতার কারনে অন্য ভাই ও গর্ভধারিণী মায়েরও চক্ষুশূল তিনি।
নিজের বলতে কোন জায়গা জমি নেই। মায়ের নামে আড়াই শতক জমি আছে। ওই জমিতে মা ও ছোট ভাইয়ের দুইটি ঘর আছে। কোন রকম পাশেই ছয় টিনের খুপড়ি ছাপড়া ঘর পেতে বসবাস করেন তিনি। পাটকাঠি ও পলিথিন দিয়ে জোড়াতালি দেওয়া ঘরের বেড়া। ফুটো টিন দিয়ে বৃষ্টির দিনে ঘরে কাঁদাপানি প্রবেশ করে। মেঝে নোংড়া ও স্যাঁতস্যাঁতে। ঘরে একটি মাত্র চোঁকি রয়েছে।
পরিবারে সদস্য ৫ জন। পুত্রসন্তান নাই। কেবল তিন কন্যা সন্তান তার। যার মধ্যে বড় মেয়ে রিনা খাতুন (১৭) মানসিক ভারসাম্যহীন ও শারিরীক প্রতিবন্ধী। মিনজা খাতুন (১১) বিনোদপুর বিকে হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ে। ছোট মেয়ে মানছুরা খাতুন (১০), শিরিজদিয়া পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেনীতে ছাত্রী।
‘অসহায়, হতদরিদ্রদের জন্যই প্রধানমন্ত্রীর ঘর’। ওই পরিবার একটি সরকারি ঘর চেয়েছেন। মহম্মদপুর উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
Leave a Reply