১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

গজারিয়ায় কঠোর লকডাউনেও চলছে কিস্তি আদায়।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ওসমান গনি গজারিয়া প্রতিনিধিঃ

 

মুন্সীগঞ্জের গাজারিয়া উপজেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারনে সরকারি সিন্ধান্তেই চলছে টানা ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। কোন রকম ঘর থেকে বাহিরে বের হতে পারছে না মানুষ। কাজ কর্ম ফেলে অবসরে কোন রকম দিন কাটাছে বাড়িতে বসে। হঠাৎ লকডাউন পড়ায় বিভিন্ন এনজিওর কিস্তি নিয়ে গজারিয়ায় নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিপাকে।

যেখানে মানুষকে ঘরে খাবার জোগাড় করতে হিমশিমে পড়তে হচ্ছে সেখানে তারা কিস্তি কিভাবে দেবেন এ নিয়ে আছেন বড় বিপাকে। ইতি মধ্যে অনেক এনজিওর কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন কিস্তি আদায় করতে,অনেকে কিস্তি দেওয়া নিয়ে করছেন ঝামেলা। ইতিমধ্যে কিস্তির ভয়ে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানায় গেছে,গজারিয়ায় শিক্ষক,কৃষক,ভ্যান চালক,দিন- মুজুর,জেলে,তাঁতী ও ছোট-বড় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সহ হাজার হাজার মানুষ প্রয়োজনে বিভিন্ন শর্তে বিভিন্ন এনজিওর থেকে চড়া সুদে কিস্তিতে টাকা তুলে থাকেন। পরে সেই টাকা আস্তে আস্তে শোধ করেন বিভিন্ন ভাবে। কিন্তু এখন করোনা ভাইরাসের লকডাউনে কাজ কর্ম সব বন্ধ থাকায় কিস্তি দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গজারিয়ার নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ।

তবে এই সব এনজিওর এর সাথে যুক্ত থাকা বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন,করোনার প্রথম ধাপে কিস্তির ব্যাপারে নির্দেশনা ছিল সরকারী ভাবে। কিন্তু এ লকডাউনের সময় এখনো কোন নির্দেশনা না পাওয়ার কারণে, কিস্তি আদায় করা নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।এ সময় কিস্তি দেওয়া নিয়ে গ্রাহকরা বিভিন্ন ঝামেলায় জড়াচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের এক ক্ষুদ্র দোকানী বলেন,আমি এক এনজিও থেকে ৮০ হাজার টাকা লোন তুলেছিলাম ঈদকে সামনে রেখে দোকানে মাল তোলার জন্য। লকডাউনের ভিতরে বাজারের দোকানপাট বন্ধ থাকায় একটি কিস্তি দিতে দেরি হয়েছে তারপরও এদের কোন ছাড় নেই। এ সময় তিনি আরো বলেন,মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিকাশ নাম্বার দিচ্ছে বিকাশ করে দিতে বলছেন ।

লকডাউনে যেখানে এই গজারিয়ায় সাধারণ মানুষ কিভাবে দুবেলা দুমুঠো খাবার খাবেন এ নিয়েই কপালে ভাজ, সেখানে বিভিন্ন এনজিওর কিস্তির চাপ নিয়ে সাধারণ দিনে আনা দিনে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন বড় বিপাকে। তবে একাধিক এনজিও গ্রাহকদের জোর দাবি এই লকডাউনের সময় কিস্তি আদায় কিছুদিন বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ সহ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

গজারিয়ায় সেবা প্রদানকারী এনজিওর ম্যানেজারগণের উদ্দ্যেশে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর বলেন,শুধু যারা স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে চায় তাদের কিস্তি গ্রহণ করার অনুরোধ করছি, একইসাথে এ বিষয়ে সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ করেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।