৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

খুলনায় ৩৩৩ ফোন দিলে পৌঁছে যাবে খাবার: খুলনা জেলা প্রশাসক।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

খুলনা প্রতিনিধি।

 

কলসেন্টার ‘৩৩৩’ এর প্লাটফর্মের ম্যাধমে আবেদন করায় বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। গত চার মাসে ৩৩৩ কলসেন্টারের মাধ্যমে খুলনার নয়টি উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার সাতশত ৩১ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে।

 

‘৩৩৩’ পরিষেবার মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ, তথ্য প্রদান, সামাজিক সমস্যার সমাধান এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান সম্পর্কিত প্রেসব্রিফিং বুধবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসব্রিফিং-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার এ তথ্য জানান।

 

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্যই ছিলো সহজে সেবাপ্রাপ্তি। সরকারের সকল সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চালু হয়েছে ৩৩৩ কল সেন্টার। মানুষ যে কোন সমস্যায় তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য এই নম্বরে কল দিলেই পাবেন নির্দিষ্ট সরকারি সেবা।

 

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রচারণার মাধ্যমে মিডিয়ার কর্মীরা ৩৩৩ নম্বরটিকে সকলের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলবেন। বর্তমানে নাগরিকগণ ‘৩৩৩’ নম্বরে কল করে সরকারি সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতি, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগের তথ্য, পর্যটন আকর্ষণযুক্ত স্থানসমূহ এবং জেলা সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারছেন।

 

 

৩৩৩ কল সেন্টারে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ও সপ্তাহে সাত দিন কল করা যাবে। এই হেল্পলাইনে ডায়াল করলে বিভিন্ন সেবা পাওয়া যাবে। ভূমি সম্পর্কিত ও ভূমি অফিসের যাবতীয় নাগরিক তথ্য কলসেন্টার থেকেই পাওয়া যাবে। ভোক্তা অধিকার সম্পর্কিত বিষয়, যেমন ভেজাল পণ্য উৎপাদন/বিক্রি সংক্রান্ত অভিযোগ করা ও তথ্য দেওয়া যাবে। বাল্যবিবাহ, যৌতুক, ইভটিজিং ইত্যাদি সামাজিক সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সমাধান চাওয়া যাবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগেও তথ্য সেবা দেবে ৩৩৩ কলসেন্টার। চোরাচালান, মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়, জুয়া, পরিবেশ দূষণ, সরকারি সম্পদ দখল বা চুরি সম্পর্কিত তথ্য দেয়া ছাড়াও নাগরিকগণ নিজেদের এলাকাতে এ ধরণের ঘটনা ঘটতে দেখলে কলসেন্টারে জানাতে পারবেন।

 

খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রেসব্রিফিং-এ খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদিকুর রহমান খান ও খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন বক্তৃতা করেন। এসময় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ারকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।