খুলনা প্রতিনিধি।
খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলায় মেম্বরকে মারপিটে অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার তেরখাদা উপজেলার ২নং বারাসাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা কেএম আলমগীর হোসেনসহ তিনজন ৪ ঘন্টা পর জামিন পেয়েছেন। খুলনা সদর থানায় দায়ের হওয়া ওই মামলায় তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে।
বিশেষ সূত্রে প্রকাশ, গত ২৮ জুলাই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মহিলা মেম্বরকে মারপিটের অভিযোগে ও টাকা আত্মসাতসহ নানা অভিযোগের বিরুদ্ধে খুলনা জেলা প্রশাসনের স্থানীয় শাখায় শুনানীর দিন ধার্য ছিল। ওই সময় বাদী ও আরও কয়েকজন উক্ত স্থানে উপস্থিত হন। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাদী রিনা বেগম জেলখানা ঘাটের টোল প্লাজার সামনে পৌছালে আসামী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম আলমগীর হোসেনসহ তার সহযোগীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। নিষেধ করার সাথে সাথে তারা বাদীর ওপর অতর্কিত হামলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ ব্যাপারে তিনি খুলনা থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন (যার নং-২৬)। বাদী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ও বারাসাত ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড সদস্য রিনা বেগম।
মামালার বিষয়ে তিনি আজ রবিবার সকালে খুলনা থানায় খোঁজ নিতে আসলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এরপর খুলনা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে তাদের জামিন দেয়া হয়। অপর দুই আসামী হল মিল্টন মুন্সি ও সোহাগ মুন্সি।
ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আলমগীর হোসেন বলেন, “আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য তিনি এ জঘন্য কাজ করেছেন। আমি আল্লাহর ওপর এ বিচারের দায়িত্ব দিলাম। তিনি এর ফয়সালা করবেন।”
Leave a Reply