১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৮শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বৃহস্পতিবার

আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যাকমোর নানা অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম নিয়ে ৩সদস্যের তদন্ত টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন।

 

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

 

জানা গেছে, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে গণ পিটিশন করে কয়েকটি ভুক্তভোগী পরিবার। তারা রোগীকে ভুল চিকিৎসা, সিন্ডিকেট তৈরি, সরকারি ঔষধ বাইরে পাচারসহ নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

 

উল্লেখ্য যে, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন আদিতমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছেন বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে। এই তদন্তটিম রোববার (১ আগস্ট) সরকারি কর্ম দিবসে কাজ শুরু করেছে। প্রধান অভিযোগকারী মমিনুল ইসলাম নামের একজন ভুক্তভোগী। গণ স্বাক্ষরিত আবেদনটি আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে করা হয়। এদিকে ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এই স্যাকমো ওমর ফারুকের নিজের প্যাথলজিতে সরকারি ঔষধ রাখা ও রোগীকে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠলে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকতারুন নেছা স্যাকমো ওমর ফারুককে ১বছরের কারাদন্ড দেয় কিন্তু সাজা খেটে রহস্যজনক কারণে পূনঃরায় একই পদে যোগদান করে। তার অপতৎপরতা বা কর্ম থেমে নেই। বরং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা।

 

আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌফিক আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, ইউএনও’র কাছে অভিযোগ ও তদন্তের বিষয়টি লিখিত ভাবে কেউ তাঁকে জানাননি। ভ্রাম্যমান আদালতে সাজার বিষয়টি সম্পর্কে নতিপত্র পেলে আইনগত পদক্ষেপ নিবেন।

 

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, বিষয়গুলো তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করে রিপোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠানো হবে। তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি। ০১৭৩৫৪৩৮৯৯৯

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।