ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ও ইউ পি এ এর চেয়্যারম্যান শ্রীমতী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃনমূল দলের নেত্রী ও পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল থেকে দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক ভাবে বিভিন্ন দলের নেতা ও নেত্রীদের সাথে যোগাযোগ করছেন। কারন একটাই আগামী, ২০২৪,সালে, ভারতের যে লোকসভা নির্বাচন হবে তখন ভারতের সব বিরোধী দলের জোট এক হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে হারাতে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে এন সি পি নেতা শ্রী শারদ পাওয়ারের সাথে এবং শিবসেনা নেতা এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী উদ্ভব ঠাকুরের সঙ্গে। সেই সঙ্গে কথা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পাটির নেতা শ্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাথে। গতকাল থেকে দফায় দফায় বৈঠক করেন নিজের দলের নেতা ও সংসদ সদস্যদের সাথে। আজ রাতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দশ নম্বর জনপথ ভবনে শ্রীমতী সনিয়া গান্ধীর সাথে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে শ্রী অভিষেক মনু সিঙভি, শ্রী কমল নাথ। এই বৈঠকে আগামী নির্বাচনে কি ভাবে বি জি পি কে পরাজিত করা যার তার জন্য মত বিনিময় হবে। কারণ পশ্চিম বাংলার প্রদেশ কঙগ্রেস সভাপতি ও ভারতের লোকসভার বিরোধী দলের নেতা শ্রী অধীর চৌধুরীর সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ভালো সম্পর্ক না থাকার কারণে তাকে বাদ দিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কারণ ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা শ্রী কমল নাথ ও সংসদ সদস্য শ্রী অভিষেক মনু সিঙভি র সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক খুবই ভালো। যাই হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ও ইউ পি এ চেয়ারম্যান শ্রীমতী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালোর কারণে এই বৈঠকে দুজনেই উপস্হিত থাকছেন। আজ সকালে বিগত কয়েক বছর আগের হাওলা কান্ডের বিচারপতি শ্রী বিনীত নারায়ণ সাথে দেখা করেন। এই বিনীত নারায়ণ তৎকালীন হাওলা কান্ডে বর্তমান পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল শ্রী জগদীশ ধনকড় এর নাম ছিল বলে জানিয়ে ছিলেন। সে মামলার নিস্পত্তি এখনো পর্যন্ত হয়নি বলে জানা গেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল শ্রী জগদীশ ধনকড় এর বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেছেন। তবে আগামী নির্বাচনে বিজেপি হারবে কি না, জিতবে সেটি লাখ টাকার প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে আম আদমির কাছে।। ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।
Leave a Reply