২৪শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৯ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

অটোভ্যান হারিয়ে নিঃস্ব লালমনিরহাটের মঈনুল।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

মুই খুব গরীব মানুষ বাহে! এই ভ্যান চালে কোন রকম ৯সদস্যের পরিবার নিয়ে দিন যাপন করং। এনজিও থাকি টাকা নিয়া অটোভ্যানটা কিনছি। এই ভ্যান চালে সংসার ও কিস্তির টাকা দেওয়া নাগে। এ্যালা মুই কেমন করি কিস্তির টাকা পরিশোধ করিম আর সংসার কেমন করি চালাম সেই চিন্তায় বাচোংছে না৷

 

এভাবেই আকুতি জানিয়ে কথাগুলো বলছিলেন, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সাড়ডুবি গ্রামের মৃত আঃ জলিলের পুত্র মঈনুল ইসলাম নামে এক ভ্যান চালক।

 

নিজের বলতে কিছুই নেই। মাত্র ৪শতাংশ জমিতে বাড়ি করে ৯সদস্যের পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করেন৷ জীবিকা নির্বাহের একমাত্র হাতিয়ার অটোভ্যানটি হারিয়ে নিঃস্ব তিনি।

 

ভ্যানচালক মঈনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (৩০ জুলাই) অটোভ্যান নিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা কেরামতিয়া বড় মসজিদে (ভাঙ্গা মসজিদ) নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। সেখানে গিয়ে ভ্যানটি মসজিদের সামনে রেখে নামাজ আদায় শেষে বের হয়ে দেখেন তার ভ্যানটি নেই।

 

তিনি আরও বলেন, তার নিজের বলতে কিছুই নেই। কিছুদিন আগে ব্র্যাক এনজিও থেকে ৩০হাজার টাকা নিয়ে অটোভ্যানটি কিনেন। অটোভ্যান চালিয়ে যা পেতেন তা দিয়ে কিস্তি দিতেন ও সংসার চালাতেন। এখন সেটাও নাই। কি করবেন না করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না বলেই হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি। এখন তিনি চেয়ে আছেন সমাজের বৃত্তবানদের দিকে। যদি কেউ দয়া করে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুম আলী বলেন, মঈনুল অত্যন্ত গরীব। ভ্যান চালিয়ে সে তার সংসার চালায়। শুনেছি তার উপার্জনের একমাত্র সম্বল অটোভ্যানটি হারিয়ে গেছে। এ বিষয়ে সমাজের বৃত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

 

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ- ০১৩১১৬৮১৬৮৩ অথবা ০১৩১১৯৪৪৬২৯ অটোভ্যান চালক মঈনুল ইসলাম।

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি। ০১৭৩৫৪৩৮৯৯৯

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।