[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

ডুমুরিয়ায় সুদের টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় কৃষক উৎপল হালদার কে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরদার বাদশা
নিজস্ব প্রতিনিধি খুলনা।

খুলনায় ডুমরিয়া উপজেলার শোভনা গ্রামে সুদখোর, দালাল ও প্রতারকদের অত্যাচারে প্রাণ চলে গেলো উৎপল হালদার নামে এক কৃষকের , গোপন তথ্য অনুসন্ধানী স্থানীয় পরিবার সূত্রে জানা যায় শোভনা ইউনিয়নের গোডাউন পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ীর নিকটে গত ২৬ জুন রবিবার রাতে ভিকটিম এর মোবাইল ফোনে কেউ একজন ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় শোভনা বিরাজময়ী হাইস্কুলে মাঠে। সেখানে রিপন তার মাসিক সুদ ৫ হাজার টাকার জন্য কথা তর্ক বিতর্ক করতে থাকে এমন অবস্থায় তাকে মেরে গলায় রশি দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে দেয় উৎপল হালদার ওরফে ভোলাকে। তারপরে আর বাড়িতে ফেরেনি উৎপল হালদার।
পরের দিন সকালে দীন বন্ধু হালাদারসহ কয়েকজন গরু নিয়ে বিলে যাওয়ার সময় দেখে উৎপল হালদার বাগানে একটি আম গাছের সাথে নাইলোনের রশি বাধা গলায় ফাঁস অবস্থায় ঝুলছে। তখন সে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে নিচে নামিয়ে দেখি যে, সে মৃত্যু বরন করেছে। তার পরিহিত গেঞ্জির বুকপকেটে পলিথিনে রক্ষিত অবস্থায় তার আত্মহত্যা সংক্রান্ত একটি নোট পাওয়া যায়। সেখানে উৎপল হালদার নিজে হাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখে গেছেন তার মৃত্যুর কারণ ও দায়ী ব্যক্তিদের নাম। নিহতের ভাই সুফল হালদার আত্মহত্যা সংক্রান্ত নোট অনুযায়ী বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
১ম আসামি তৎকালিক মৃনাল বাহিনীর নেতা মনোতোষ বসাক এর আপন ভাইপো সে এলাকার চিহ্নিত প্রতারক বলে জানা যায় অনুসন্ধ্যানে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন এই সুজন অনেক লোক কে সুদে টাকা এনে দেয়। চেক ও স্টাম্প রেখে যে ব্যাক্তির নামে টাকা উঠায় ২ লাখ তাকে এনে দেয় এক লাখ। প্রতি মাসে লাখ প্রতি সুধ নেয় ১০ হাজার টাকা করে। এক মাস গত হওয়ার পরে জনৈক ব্যাক্তি যখন জানতে পারে তার ব্যাঙ্ক চেক ও স্টাম্প রেখে দুই লাখ টাকা এনেছে তখনই বিপাকে পড়ে। এমন অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে ঐ প্রতারক। এক দুই বছর ধরে সুদের টাকা আদায় করে পরে উক্ত ব্যাক্তি নিঃশ্ব বা সর্বশান্ত হলে তখন সুদে মহাজনের দ্বারা চেক ডিজওনার করিয়ে মামলা ঠুকে দেয়।
নিহতের স্ত্রী দেবি হালদার বলেন, পারিবারিক ভাবে কোনো ঝামেলা ছিলোনা। ঘটনার দিন কে যেনো বার বার ফোন দিচ্ছিলো। তাড়াতাড়ি যেতে বলছিলো।
২য় আসামি নিজেই সুদে মহাজন। বাড়ির পার্শে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিওন তিনি। নিজের মনগড়া নিয়মে চড়া সুদে টাকা লাগিয়ে গরু, সোনাদানা ও স্থানীয় দালালের সহয়তায় জমি কবজা করে।
সমিতির নামে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এই অঞ্চলের স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে দোকান ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুৎ মাষ্টার, মাইকেল মাষ্টার, প্রবীর দোকানদার, অমিতাভ হালদার সহ আরও অনেকেজন।
এই ভিকটিম এর কাছে মাইকেল মাষ্টার ও ৫০ হাজার টাকা পাবে বলে যানা যায়। তবে মুঠোফোনে জানতে চাইলে মাইকেল মাষ্টার সবকিছু অস্বিকার করেন।
শোভনা বিরাজময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর মাঠে ব্যাঙ্গের ছাতার মত প্রায় ২০/২৫ টি সমিতি আছে যাহা অবৈধভাবে অসহায় মানুষকে টাকা দিয়ে সুদ আদাই করে চলেছে। সমাজের অনেক সাদা জমা পরা লোক সন্ধ্যা নামতেই বসে যায় সুদের হিসাব কষতে। তাদের সকলের নাম এবং আরো ঘৃণ কার্যক্রম প্রকাশ করা হবে আগামী পর্বে। এই বিষয়ে
শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য উপজেলার মসিক সভার মিটিং এই ব্যাপারে বলেন, এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান সকলের প্রতি এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ আস্থা করে বসে আছে এই কারেন্ট সুদের ব্যাবসা বন্ধ হোক আর কোনো জীবন এভাবে আর ঝরে না পড়ুক।

এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সেখ কনি মিয়া বলেন,
নিহতের ভাই সুফল হালদার একটি ৩০৬ ধারাই একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন , লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছিল ময়রা তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে এটা কি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড নাকি আত্মহত্যা, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *