৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২৪শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।বুধবার

১০ আগস্ট থেকে টিকা পাবেন রোহিঙ্গারা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল শনিবার থেকে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়র ‘গণটিকাদান কর্মসূচি’ শুরু হয়েছে। টিকাদানে শৃঙ্খলা আনতে বয়স ও অঞ্চলকে প্রধান্য দিয়ে এ গণটিকা কার্যক্রম চলছে। প্রথম দিনে সারাদেশে ২৭ লাখেরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। গণটিকাদান কর্মসূচি চলবে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত।

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যূত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকেও এ টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ আগস্ট থেকে প্রথম পর্যায়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকা দেয়া হবে। এ কার্যক্রমে প্রায় ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১০ থেকে ১২ আগস্ট ৩ দিন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হবে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ আগস্ট রোহিঙ্গাদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও ৩ দিনের বেশি টিকা প্রয়োগ করা হতে পারে। এতে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেয়া হবে। প্রত্যেককে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হবে। রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষদের টিকা দেয়ার জন্য ক্যাম্পে ৫৬টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৫৮টি টিকা প্রয়োগকারী দল কাজ করবে। প্রতিটি দলে দু’জন টিকা-দানকারীর বিপরীতে থাকবেন তিনজন স্বেচ্ছাসেবক। টিকা নিতে আগতদের তথ্য ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনা বুঝতে সহযোগিতা করবেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ফ্যামিলি কাউন্টিং নাম্বার বা পরিবার পরিচিতি নম্বর দেয়া হয়েছে। মূলত এ নাম্বরের মাধ্যমে তাদের টিকা দেয়া হবে।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকার আওতায় আনা হবে। প্রথম ডোজ দিতে যদি ৩ দিনের বেশি সময় প্রয়োজন হয় তাহলে তা করা হবে। বৃষ্টির জন্য ক্যাম্পের রাস্তা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চলাচলে সমস্যা হয়। এসব কারণে কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ জেলায় টিকা ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ জানান, কক্সবাজারে ২২৮টি টিকাদান কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সব সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।