২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে-শিক্ষা মন্ত্রী দিপু মনি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সিলেট প্রতিনিধি : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘শিক্ষার হার যেখানে শেখ হাসিনার সরকার ২০০১ সালে রেখে গিয়েছিলেন ৬৮ ভাগে, ২০০৯ সালে আমরা ফিরে এসে পেয়েছি ৪৫ ভাগে। ৫ বছরে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গেলেও ৭ বছর পর ফিরে এসে দেখলাম আবারও সেই খাদ্য ঘাটতি। অর্থাৎ শেখ হাসিনা দেশেকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, পরে যারা এসছেন তারা দেশেকে পিছিয়ে নিয়েছেন।’

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই বার বার আওয়ামী লীগকে জয়ী করে দায়ীত্ব দিয়েছেন দেশে পরিচালনার। তাই আজ দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। আজ সারা বিশ্বের মানুষ অবাক হয়ে বলে কি করে বাংলাদেশে এতো উন্নয়ন হচ্ছে? এতো জনসংখ্যা নিয়ে কিভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে?’

রবিবার দুপুরে ওসমানীনগর উপজেলার ওসমানী উচ্চ বিদ্যালয়ে বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর এডুকেশন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি উপরোক্ত কথা বলেন।

ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন রবিন পালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘আজ প্রতিটা মানুষের পেটে ভাত আছে, গায়ে আছে কাপড়, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে, হাতে আছে মোবাইল ফোন। রাস্থা ঘাটের যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে এখন গ্রামের ঘর পর্যন্তও গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ সামাদ চৌধুরী কয়েছ, সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ মিলাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সমাজসেবক নাছির উদ্দিন খান, জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম।

উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার, ওসমানীনগর সার্কেল রফিকুল ইসলাম, বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মুস্তাকুর রহমান মওফুর, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দাল মিয়া, ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সাবেক সভাপতি কবির উদ্দিন, বর্তমান সহ সভাপতি আব্দাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধূরী নাজলু, যুগ্ন্ সম্পাদক অনোরুদয় পাল ঝলক, সাংগঠানিক সম্পাদক আনা মিয়া, বালাগঞ্জ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া, জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ, ওসমানীনগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক চঞ্চল পাল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল লেইচ প্রমুখ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।