২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।রবিবার

লাশ নিয়ে থানার বানিজ্য আসামী রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে ফাসি দাবী বাবা- মার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল (যশোর )প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা গাজিপাড়া গ্রাম থেকে শাহা পরান (১২) নামে মাদ্রাসার ছাত্রকে হত্যার পর ১১ দিন পেড়িয়ে গেলেও মূল সন্দেহভাজন আসামী একই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজুরকে
এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারিনি শার্শা থানা পুলিশ। উপরন্তু প্রধান আসামীকে আটকের তদন্তের নামে নিরীহ পুরুষ নারীদের বাসা থেকে থানায় নিয়ে ৩ দিন আটকের পর তিন লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন প্রধান আসামী হাফিজুরের নিরীহ আতœীয় স্বজনেরা। ভুক্তভোগী আতœীয়রা জানান মোঃ ওয়াহেদ মাধ্যমে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার চুক্তি হয় সেই মোতাবেক ৩ লাখ টাকা ঈদের দিন অগ্রীম দিলে শার্শা থানা তাদেরকে রাতে ছেড়ে দেয়।

সংবাদ কর্মীরা ঘটনার সুত্রে সরেজমিনে ভুক্তভোগী নিরীহ আত্মীয় শার্শার ডুবপাড়া গ্রামের মসজিদের ইমাম মোঃ হেদায়েতুল্লাহ (৫০) পিতাঃ আঃ আহাদ (হাফিজুরের ভগ্নিপতি) বাসায় গেলে তিনি এই অভিযোগ সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।

হেদায়েত উল্লাহ সহ তার বাসার ৩জন নারী বলেন ০২রা জুন ২৮শে রমজানের দিন প্রধান আসামীকে ধরার জন্য তার বাসা থেকে তার স্ত্রী রেশমা খাতুন (৩৫) চায়না বেগম (২৫)স্বামীঃ মুক্তাসুন বিল্লাহ, হাসিনা বেগম(২৮)স্বামীঃ
হাফিজুর রহমান,সহ চারজন ও যশোর চৌগাছা থেকে আরও একজন মোনাইম (৪৫)পিতাঃ শামসুর রহমান, শার্শা থানা পুলিশ ধরে নিয়ে আসে। তারপর থেকে তদন্তর নামে তাদেরকে বিভিন্ন কৌশলে প্রধান আসামীর অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এভাবে দুইদিন অতিবাহিত হলে আমাদের এই হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃকততা না থাকার কারনে এবার চলে আমাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার টালবাহানা ,পাশাপাশি চলে অর্থের মাধ্যমে লেনদেনের বিষয়টি। হেদায়েত উল্লাহ বলেন তার বোনাই ওয়াহেদ ডুবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওসমান ও ই¯্রাফিলের কাছ থেকে খুনের পর সদ্য মাঠের জমি বিক্রয়ের অগ্রীম নগদ ৩ লাখ টাকা এনে শার্শা থানার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি(দালাল) সৈয়দ আলীর(সৈয়দা) মাধ্যমে শার্শা থানার এসআই মামুনের নিকট নগদ ৩ লাখ টাকা দিলে থানা ঈদের দিন বিকালে ৩ জন মহিলা ও ঈদের দিন রাতে এশার নামাজের পর আমাদের দুইজন কে থানা থেকে ছেয়ে দেয়। তিনি বলেন ঈদের পর আরও ৩ লাখ টাকা শার্শা থানায় দিতে হবে ও আসামী হাফিজুরের অবস্থান যদি তারা জানতে পারে সেই তথ্য থানাকে দিতে হবে এই শর্তে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

শার্শা থানার দালাল নামে পরিচিত সৈয়দ আলী সৈয়দা (৫৫)পিতাঃ মৃত ওমর আলী, বলেন আমি মাঝে মাঝে থানার বিভিন্ন কাজ করে দেই বিধায় এই খুনের আসামী হাফিজুরের আতœীয় হেদায়েত উল্লার পরিবারকে শার্শা থানার এসআই মামুন আমার জিন্মায় ছেড়ে দেয়। তিনি অর্থ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন, তিনি বলেন হেদায়েত উল্লাহ মিথ্যা বলেছে,তাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তিনি তো শার্শা থানার কোন অফিসার নয় আবার কোন অর্থ গ্রহন করেনি তবে কেন তার জিম্মায় হেদায়েত উল্লাহসহ পাঁচজনকে ছেড়ে দেওয়া হলো ও এই সংক্রান্ত বিষয়ের (থানা থেকে মুক্তির) জন্য খুনের পর সদ্য জমি বিক্রয়ের অর্থ তাহলে কোথায় গেলো এর কোন সদুত্তর দিতে তিনি পারিনি ।

হেদায়েত উল্লাহর বোনাই ওয়াহেদের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন ওসমান ও ইস্রাফিলের কাছ থেকে হেদায়েত উল্লাহ সহ ৫জন আটকের দিনে নগদ ৩ লাখ টাকা ও পরে ঈদের পর রবিবার আরও ৩ লাখ টাকা ইসলামী ব্যাংকের চেক নিয়ে আসি। তিনি বলেন তারা ভয়তে আবোল তাবোল আপনাদেরকে বলেছে।

ডুবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওসমান ও ইস্রাফিল খুনের পর ঈদের আগে ও পরে হেদায়েত উল্লাহর ৫ড় শতক জমি বিক্রয়ের ৬ লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

মৃত শাহা পরানের বাবা -মা মূল হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন তারা গরীব বলে তার সন্তানের তদন্ত ধীর গতিতে চলছে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত ইনর্চাজ মশিউর রহমান বলেন প্রধান আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনাদের সু-সংবাদ দিতে পারবো। তিনি হেদায়েত উল্লাহর পরিবারকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার কাছ থেকে অর্থ গ্রহনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। যদি কেউ অর্থ নিয়ে থাকে তবে প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান বলেন, আসামী খুবই চালাক ক্ষনে ক্ষনে তার অবস্থান পরিবর্তন করছে, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে তাকে আটক করা যাবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। হেদায়েত উল্লাহর পরিবারের কাছ থেকে মুক্তির জন্য অর্থ নেওয়ার কথা তার জানা নেই, কেউ এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।