৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধের তীব্র সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মাধবপুর প্রতিনিধি: ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৪ মাস যাবত হাসপাতালে সরকারি ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে করে গ্রামাঞ্চল থেকে প্রতিদিন আউট ডোর-ইন ডোরের আগত প্রায় ৫ শতাধিক রোগী সরকারি ঔষধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

হাসপাতালে প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল ও কলেরা স্যালাইন পর্যন্ত সরবরাহ নেই এ হাসপাতালে।

গত ৩১ অক্টোবর উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ঔষধ সংকটের বিষয়টি উপস্থাপন করলে উপজেলা থেকে ৩ নভেম্বর ১৬ হাজার ৫শ প্যারাসিটামল, ১শ ৪৪ টি ৫০০ এম এলক কলেরা স্যালাইন ও ১শ ৪৪টি ১০০০ এম এল কলেরা স্যালাইন সরবরাহ করা হয়। তাও শেষ পর্যায়ে।

এদিকে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ও ভাটি অঞ্চলে পানি নেমে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই ডায়রিয়া চিকিৎসা নিতে এ হাসপাতালে রোগীর ভীড় দেখা দিয়েছে। কিন্তু সরকারি ভাবে রোগীদেরকে ঔষধ সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, হাসপাতালে ঔষধের ষ্টোরটি বর্তমানে ঔষধ শুন্য। কবে নাগাদ ঔষধ সরবরাহ করা হবে তা এখনো অনিশ্চিত। এতে করে সাধারন রোগীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

ঔষধ অধিদপ্তর কর্তৃক জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে ঔষধ সরবরাহ হবে এ সিদ্ধান্ত হীনতার কারনে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৪ মাস যাবত ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যে কারনে প্যারাসিটামল, কলেরা সেলাইন সহ জীবন রক্ষাকারি ঔষধ একেবারেই নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বুধবার সকাল ১১ টার দিকে গিয়ে দেখা যায়- হাসপাতালে আগত আউট ডোর আন ডোরের রোগীদের দুই একটি ঔষধ ছাড়া বাকি সব ধরনের সরকারি ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক জানান, হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে কোন ধরনের ঔষধ ব্যবস্থাপত্রে লিখা যাবে না। কারণ ঔষধ নেই। এ জন্য ডাক্তাররা ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ লিখে বাহির থেকে ঔষধ সরবরাহের পরামর্শ দিচ্ছেন।

গোয়ালনগর গ্রামের একজন জানান, তিনি ডাক্তার দেখিয়েছেন কিন্তু তার যে সমস্যা সেই রোগের ঔষধ হাসপাতালে নেই।

আরেকজন জানান, এতদুর থেকে গাড়ী ভাড়া দিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। কিন্তু সরকারি ঔষধ না পেয়ে তিনি হতাশ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এইচএম ইশতিয়াক মামুন জানান, প্রতিদিন এ হাসপাতালে আউট ডোর, ইনডোর এ ৬ থেকে ৭ শত রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু লাষ্ট কোয়াটার (তিন মাস) যাবত হাসপাতালে ঔষধ সরবরাহ নেই। এতে করে স্টক শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় রোগীদের কে সরকারি ঔষধ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ঔষধ অধিপ্তর কৃর্তক জেলা না

উপজেলা পর্যায়ে ঔষধ সরবরাহ হবে এ সিদ্ধান্ত হীনতার কারনে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ মাস যাবত ঔষধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঔষধ অধিদপ্তরের নীতিগত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঔষধ সংকটের বিষয়টি নিরসনের জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিভাগীয় ডিরেক্টর ও সিভিল সার্জনকে অবগত করা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।