১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেশি ঘটে পুলিশ হেফাজতে, এমন মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রী এন ভি রামান্না।।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কোলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।

আজ ভারতের ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিসের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রী এন ভি রামান্না বলেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ থানা গুলিতে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ঘটে। সেখানে দেখা যায় পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন অনেক সময় নিরপরাধ মানুষের উপর থার্ড ড্রিগ্রী প্রয়োগ করে হয়েছে। কারণ হিসেবে দেখা গেছে সেই সব নিরপরাধ মানুষের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে টাকা ও পয়সা চাওয়া হয়েছে কেস কে হাল্কা করে দেবার জন্য। যারা টাকা পয়সা দিতে পারেন না তাদের উপর চলে শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার। অনেক সময় দেখা যায় পুলিশ কে সাধারণ মানুষের রক্ষক হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু তার পরিবর্তে যদি পুলিশ টাকা পয়সা নেবার জন্য ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেন তাতে পুলিশের যে সামাজিক ভূমিকা থাকে তা তাদের থাকে না অর্থ সামাজিক কারনে। অনেক সময় দেখা যায় সাধারণ মানুষ যখন বিপদে পড়ে পুলিশ থানা তে যায় তখন কিছু পুলিশ অফিসার তাদের সাথে অর্থ সামাজিক চুক্তি করে আবেদন কারীর সাহায্য করে। সেই সাথে অনেক সময় নিরপরাধ মানুষের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা নেবার ঘটনা ঘটেছে। এবং পুলিশ সাধারণ মানুষের সাহায্য না করে বহু ক্ষেত্রে অসামাজিক ক্ষেত্র থেকে টাকা পয়সা তুলতে থাকে। যেমন মদ, গাজা কালোবাজারি এবং বেআইনি নির্মাণ এবং বেআইনি পার্কিং ও বেআইনি পরিবহনের কাজ থেকে দৈনিক ও মাসিক টাকা পয়সা তুলছে। যায় জন্য সমাজ আজ নিচের দিকে নামছে। এর পরিবর্তন হওয়া উচিত বলে মনে করেন। ভারতের প্রধান বিচারপতি শ্রী এন ভি রামান্না বলেন আমার মনে হয় এবার থেকে প্রতিটি থানা তে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে এবং সাধারণ মানুষের উপর শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার বন্ধ করতে একটি করে ভারতের লিগ্যাল সার্ভিসের বোর্ড দেওয়া দরকার। সাধারণত মানুষ তা দেখে লিগ্যাল সার্ভিসের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। যদি সাধারণ মানুষের পাশে ভারতের লিগ্যাল সার্ভিসের সদস্যরা থাকেন তাহলে সাধারণ গরীব লোকদের সঠিক ভাবে আইনি সহায়তা প্রদান পাবেন বলে মনে করেন ভারতের প্রধান বিচারপতি শ্রী এন ভি রামান্না।।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।