১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমে নিয়োজিত আনছার সদস্যরা চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমসে ডিউটিরত আনসার সদস্যরা। একাধিক অভিযোগে জানা গেছে, স্কানিং মেশিনের পাশে এবং বহির্গমন এর পাসপোর্ট এর ট্যাক্স আছে কিনা কাস্টমস সিপাইদের পাশাপাশি আনসার সদস্য দায়িত্বে থেকে পাসপোর্টযাত্রীদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি করছে।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে ট্যাক্স এর কাগজ আনছার সদস্য ও একটি বেসরকারী গ্রুপের নিরাপত্তা প্রহরীদের দেখিয়ে স্কানিং মেশিনের পাশে দাঁড়িয়ে আনসার সদস্যরা আবার পাসপোর্ট হাতে নিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের নানাবিধ প্রশ্ন ছোড়ে। এরপর এক পর্যায় তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। অনেকে ধমক দেয় এই বেটা কিসের টাকা। আবার অনেকে দুর দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা না বুঝে তাদের হাতে টাকা গুজে দেয়। এটা হচ্ছে বেনাপোল কাস্টমস নিয়োজিত আনসার সদস্যদের প্রথম ধাপের চাঁদাবাজি।

এরপর দ্বিতীয় ধাপে আনছার সদস্যদের দ্বারা ইমিগেশন এর সিল শেষে ভারত প্রবেশের সময় পাসপোর্টযাত্রীরা বাধার সৃষ্টি হয়। সেখানে ঐ একই ধরনের প্রশ্ন । ভারতে কেন যাবেন? এত ঘন ঘন কিসের জন্য আপনার ল্যাগেজে কি আছে অহেতুক প্রশ্ন করে শেষ পর্যান্ত চাঁদা দাবি করে। আনছার সদস্যদের এ চাঁদার টাকা একাধিক লোকের অভিযোগ ছাড়াও স্বচক্ষে নিতে দেখা গেছে একাধিক বার।

ঢাকার পাসপোর্টযাত্রী অনিমা ঘোষ শুক্রবার সকালে কাস্টমস এর ভিতর এ প্রতিনিধিকে বলে আমরা তো চোরাইপথে ভারত যাচ্ছি না। তবে কেন আনছার সদস্যরা আমাদের নিকট টাকা দাবি করছে? কাস্টমস এর স্কানিং মেশিনের পাশে এবং বহির্গমন গেটে ১ জন কাস্টমস সিপাইর পাশিাপাশি দুই তিনজন আনছার সদস্য ডিউটি করে।
বেনাপোল চেকপোষ্টের কাস্টমে নিয়োজিত আনছার সদস্য রমজান, দবির মিয়া, হিরো, শরিফুল চাদাবাজিতে বেপরোয়া বলে একাধিক অভিযোগ। এছাড়া এদের চাদাবাজির টাকা নেওয়ার ভিডিও রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে।
এছাড়াও দেখা গেছে বেনাপোল চেকপোষ্টে কিছু ঘরে ঘরে যেয়ে আনছার সদস্যরা চাঁদা তোলে। একপর্যায় জানা গেলো এরা ইমিগ্রেশন এর ভিতর ঐ সব ঘরের লোকদের প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি করে না তার জন্য এই চাদা আদায় করে।
এ ব্যাপারে কাস্টমস এর জনৈক নেম প্লেড বিহীন একজন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমিতো জানি না তবে যখন শুনেছি বিষয়টি দেখব।
বেনাপোল কাস্টমসে নিয়োজিত আনছার সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন , আমি এটা যাতে না হয় সে বেপারে পদক্ষেপ নিব।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।