৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে সড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চম দিন চলছে আজ। গত চার দিনের তুলনায় আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা গেছে। অফিসগামীরা ভাড়া ভাগাভাগি করে রিকশায় চড়ছেন। পাড়া মহল্লার দোকানপাটগুলোও আস্তে আস্তে খুলছে। অন্যদিকে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের তল্লাশি অব্যাহত আছে। বিভিন্ন সিগন্যালে গাড়িগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড, শংকর, ধানমন্ডি লেক, ঝিগাতলা, সিটি কলেজ মোড়, রাসেল স্কয়ার মোড়, গণভবন চেকপোস্ট ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থাকা শেরেবাংলা নগর থানার চেকপোস্ট ঘুরে দেখা যায়, জীবিকার তাগিদে অনেকেই মহল্লায় ছোট দোকানগুলো খুলেছেন। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড ও শংকর বাস স্ট্যান্ডে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালকদের যাত্রীর অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। ধানমন্ডি লেকে শতাধিক মানুষকে শরীর চর্চা করতে দেখা গেছে। দুপুরের খাবার হাতে অনেককে হেঁটে কাজে যেতে দেখা যায়।

এদিকে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ রয়েছে। সঙ্গে চলছে রিকশা, মোটরসাইকেল, অফিস বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক তল্লাশির ফলে চেকপোস্টগুলোয় গাড়ির জটলা সৃষ্টি হয়েছে। তবুও পুলিশ প্রতিটি গাড়ির যাত্রীদের তল্লাশি করছে। যারা অযথা বাইরে বের হয়েছেন বা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারছেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

চলমান কঠোর বিধিনিষেধে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকার কথা থাকলেও কিছু কিছু অফিস খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ফলে গত রোববার থেকে সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হলে পথচারীদের বিভিন্ন দোকানের শেডের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। একান্ত জরুরি প্রয়োজন যাদের, তাদের বৃষ্টি থেকে বাঁচতে পর্দা টেনে রিকশায় চড়তে দেখা গেছে। বৃষ্টিতে কিছু সময়ের জন্য ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল চেকপোস্টগুলো। বৃষ্টি কমার পরে আবারও শুরু হয় পুলিশের তল্লাশি।

সড়কে কারা চলাচল করতে পারছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জহুরুল হক বলেন, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অনেক অফিস খোলা। আমরা প্রত্যেকটি গাড়িকে জিজ্ঞাসবাদ করছি। ফলে পেছনে গাড়ির দীর্ঘ সিরিয়ালও হয়েছে। এখানে অনেকেই আর্থিক কাজে যাচ্ছেন, রোগী দেখতে যাচ্ছেন, টিকা নিতে যাচ্ছেন, বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ি আসছে। আমরা চেষ্টা করছি অন্তত কেউ যেন অযথা ঘর থেকে বের না হয়। যাদের কথায় সন্তুষ্ট হচ্ছি না বা কারণ যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।