১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

নাভারন হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে মাহিন্দ্রা গাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে হাইওয়ে পুলিশের সামনেই চলছে মাহিন্দ্রা নামক ইঞ্জিন চালিত ৩ চাকার গাড়ি। চালকরা বলছেন যশোর- বেনাপোল সড়কের নাভারন হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে তারা গাড়ি চালাচ্ছেন। মাঝে মধ্যে এ গাড়িতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রধান সড়কে যাত্রীরা।
নাভারন হাইওয়ে পুলিশ নাভারন ঝিকরগাছা, বেনাপোল ও বাগআঁচড়া পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়ালেও বন্ধ হচ্ছে না মাহিন্দ্রা চলাচল। ফলে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। সম্প্রতি শার্শার শামলা গাছি, বাগআঁচড়ার সাতমাইল এলাকায় মাহিন্দ্রার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে কয়েকজন।

সোমবার সরেজমিনে বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের সামনে প্রধান সড়কে দেখা গেছে এখান থেকে নাভারন এর উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছে এসব গাড়িগুলো। এখানে প্রধান সড়কের উপর গড়ে তুলেছে তাদের গাড়ির পার্কিং পার্ক। আবার নাভারন মোড়ে ও বাড়আঁচড়া প্রধান সড়কে দেখা গেছে দুইট গাড়ির পার্কিং এর অস্থায়ী টার্মিনাল। বেনাপোল নাভারন ও বাগআঁচড়া এলাকায় রিতিমত খাতা কলম নিয়ে এসব গাড়ির সিরয়াল দিয়ে যাত্রী উঠাতে দেখা গেছে । ওই সব গাড়ির চালকদের সমন্বয়ে রাখা হয়েছে একজন সিরিয়াল মেইন্টেন করা লোক। ভোর বেলা থেকে চলাচল শুরু হয় এসব গাড়ি। আর শেষ হয় মধ্যে রাতে।

বেনাপোল বাহাদুরপুর রোডের পাশে যশোর – বেনাপোল মহাসড়কের ইজিবাইক ষ্টান্ডের চালক শাহিন ও জামাল হোসেন বলেন, আগে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ অনেক কম টাকা নিত। এখন প্রতি মাসিক স্লিপে ৪ শত করে টাকা নিচ্ছে। দিঘিরপাড় গ্রামের কামাল হোসেন বলেন আগে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ বেনাপোল ও নাভারনে ৫ থেকে ৬ শত স্লিপ দিত। এখন তা কমিয়ে একজন চেয়ারম্যানের মাধ্যেমে দেড় থেকে ২শত স্লিপ দেয়। যার জন্য টাকার পরিমান বেশী হলেও ভাড়া বাড়েনি। এতে চালকদের অনেক কষ্ট হয়। অপরদিকে মাহিন্দ্রার চালকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের গাড়ি রোডে পুলিশকে ম্যানেজ করে চালাতে হয়। আপনারা লেখা লেখি করলে আমাদের অসুবিধা হবে।

এ ব্যাপারে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ এর এসআই টিটুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন চালকরা যে ম্যানেজ করার কথা বলছে এটা মিথ্যা। আমরা হাইওয়েতে মাহিন্দ্রা থ্রি-হুইলার গাড়ি আটক করছি। এবং গাড়ি গুলি নাভারন হাইওয়েতে আছে। নাভারন হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জহিরুল মিয়াকে ০১৭৬৯৬৯০৪৬৭ নং মোবাইলে কয়েকবার সোমবার সকাল ১১.২৫ টার সময় ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

তবে এলাকার সাধারন সচেতন মহলের অভিযোগ এসব গাড়ি ও ইজিবাইক প্রধান সড়ক থেকে উঠিয়ে দেওয়া উচিৎ। প্রধান সড়কগুলি সব সময় ব্যস্ত থাকায় এখানে এসব ছোট খাট গাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকের প্রান হানিও হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।