৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

ঢাকার দুই সিটিতে আজ ভোট গ্রহণ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন, দুইটি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন এবং ডিএসসিসি’র নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের মেয়াদ হবে এক বছর। ২০২০ সালের মে মাসের দিকে এই দুই সিটির সব পদে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়ে, মেয়র পদের ব্যালট পেপারের বুধবার ৩৬টি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় পুলিশি নিরাপত্তায় উত্তরের ১৮টি ওয়ার্ডের মেয়র ও কাউন্সিলর এবং দক্ষিণের ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের ব্যালট পেপার পাঠানো হয়।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ১৯ জন করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৩ জন করে ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।

নির্বাচনে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনাসারের সমন্বয়ে মোট ২৭টি মোবাইল টিম নিয়োজিত আছে। এছাড়া নিয়োজিত রয়েছে ১৮টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ২৭টিম ও ২৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

আচরণবিধি প্রতিপালন ও অনিয়মের শাস্তি প্রদানে ৫৪জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে ২৪ জন।

ডিএনসিসির মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জাপা) মো. শাফিন আহমেদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির শাহীন খান ও স্বতন্ত্র মো. আব্দুর রহিম।

ডিএনসিসির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডের ১১৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪৫জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে। ডিএসসিসির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে রয়েছে ৪৫ জন।

ঢাকা উত্তরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর নয় নম্বর সাধারণ আসনে এক জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ডিএনসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৫৪টি ওয়ার্ডের ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার ভোট দেওয়া সুযোগ পাচ্ছেন।

আর নতুন সৃষ্টি হওয়া ৩৭ নম্বর থেকে ৫৪ নম্বর পর্যন্ত ১৮টি ওয়ার্ডে ও ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নির্বাচনে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৭০৫জন ভোটার তাদের মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।

ডিএসসিসি’র ৫৮ থেকে ৭৫ নম্বর পর্যন্ত মোট ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডের ও ছয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন চার লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৫ জন ভোটার।

ঢাকা সিটির ভোটগ্রহণ ছাড়াও নির্বাচন কমিশন (ইসি) বৃহস্পতিবার বরগুনার আমতলি পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।