ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন, দুইটি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন এবং ডিএসসিসি’র নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের মেয়াদ হবে এক বছর। ২০২০ সালের মে মাসের দিকে এই দুই সিটির সব পদে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়ে, মেয়র পদের ব্যালট পেপারের বুধবার ৩৬টি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় পুলিশি নিরাপত্তায় উত্তরের ১৮টি ওয়ার্ডের মেয়র ও কাউন্সিলর এবং দক্ষিণের ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের ব্যালট পেপার পাঠানো হয়।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ১৯ জন করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৩ জন করে ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।
নির্বাচনে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনাসারের সমন্বয়ে মোট ২৭টি মোবাইল টিম নিয়োজিত আছে। এছাড়া নিয়োজিত রয়েছে ১৮টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ২৭টিম ও ২৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আচরণবিধি প্রতিপালন ও অনিয়মের শাস্তি প্রদানে ৫৪জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে ২৪ জন।
ডিএনসিসির মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জাপা) মো. শাফিন আহমেদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির শাহীন খান ও স্বতন্ত্র মো. আব্দুর রহিম।
ডিএনসিসির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডের ১১৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪৫জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে। ডিএসসিসির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে রয়েছে ৪৫ জন।
ঢাকা উত্তরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর নয় নম্বর সাধারণ আসনে এক জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ডিএনসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৫৪টি ওয়ার্ডের ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার ভোট দেওয়া সুযোগ পাচ্ছেন।
আর নতুন সৃষ্টি হওয়া ৩৭ নম্বর থেকে ৫৪ নম্বর পর্যন্ত ১৮টি ওয়ার্ডে ও ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নির্বাচনে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৭০৫জন ভোটার তাদের মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
ডিএসসিসি’র ৫৮ থেকে ৭৫ নম্বর পর্যন্ত মোট ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডের ও ছয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন চার লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৫ জন ভোটার।
ঢাকা সিটির ভোটগ্রহণ ছাড়াও নির্বাচন কমিশন (ইসি) বৃহস্পতিবার বরগুনার আমতলি পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করছে।
Leave a Reply