৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

করোনা টেস্ট নিয়ে গ্রামীণ জনগণের ভীতি নিরসনে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে আর্তমানবতার সেবায় আরো বেশি এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা টেস্ট নিয়ে গ্রামীণ জনগণের মনে যে ভীতি সেটা দূর করতে এবং টিকা প্রদানে উৎসাহিত করতে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টেস্ট করলে (করোনা) তার যে চিকিৎসাটা হবে, সে যে ভালো হবে বা সে অন্য কাউকে সংক্রমিত করবে না এবং নিজে বাঁচবে অন্যকেও বাঁচাবে- এই ধারণাটা মানুষের মধ্যে দিতে হবে। এটা আমাদের নেতা-কর্মীরা যে যেখানে আছে তাদের বলে দেয়া যাতে সাধারণ মানুষের কাছে বার্তাটা পৌঁছে যায়।’

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে অতীতে নানারকম ভীতি ছিল। টিকা নিলে কি না কি হয়ে যাবে। এখন সে ভীতি কাটলেও একটা সমস্যা এখনো আছে, যেটা আমি মাঝে মাঝে খবর পাই, কেউ (করোনা) পরীক্ষা করাতে চায় না। তাদের ধারণা টেস্ট করলে করোনা আছে শুনলে সে অচ্ছুত হয়ে যাবে, তার সাথে কেউ মিশবে না, এই ভয়টা করে। কিন্তু এটা তো ঠিক নয়।’

প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা যেহেতু মানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছ। এটা অব্যাহত রাখবে। মনে রাখবে, এটাই আমাদের আদর্শ এটাই আমাদের কাজ। এটাই আমাদের জাতির পিতা শিখিয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডব্লিউএইচও’র নির্দেশনা অনুযায়ী শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ যাতে টিকা নিতে পারে তার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। ভ্যাকসিন যেখানে যা পাওয়া যাচ্ছে আমরা ক্রয় করছি। তার জন্য আলাদা টাকাও রাখা আছে। প্রয়োজনে আরো টাকাও আমরা খরচ করবো। ইতোমধ্যে আমাদের ১ কোটি ৮৭ লাখের মতো ভ্যাকসিন দেয়া হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘একেবারে গ্রাম পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। আইডি কার্ড দেখিয়ে সরাসরি রেজিস্ট্রেশন করে সেখানেই টিকা নিতে পারবে। সেই ব্যবস্থাও আমরা করছি। তিনি এই ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের মানুষকে সাহায্য এবং সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।’ সূত্র : বাসস

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।