২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।রবিবার

এটাকি পুকুর নাকি রাস্তা বুঝা কঠিন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সাহাদাত শিকদার গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি।

 

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জ টু কাপাসিয়া সদর মুখী উপজেলা সংলগ্ন ছাফাইছড়ি মোর মুখী রাস্তাটি দেখলে মনে হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত কোন এক জনপদ। সর্বএ ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত হা- করে আছে এই বুঝি কোনো বাহন কে গিলে খাবে।

এটি এখন মরণফাঁদে পরিণত

হয়েছে।

 

 

দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি সংস্কার না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তাদিয়ে চলাচল করছে যানবাহনসহ এলাকার মানুষ।

রাস্তাটি নির্মাণের পর থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলাকার সকল জনসাধারণের উপজেলার সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একমাত্র রাস্তা এটি। এছাড়াও প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে শতশত রিকাশা, ভ্যান, ইাজবাইক, ভডভডি, নসিমন, করিমন, সিএনজি, ও কোম্পানীর পিক-আপ ভ্যানসহ বিভিন্ন রকমের মোটরযান চলাচল করে।

কাপাসিয়া বাজারে ধান ব্যবসায়ীদের ধানসহ সকল পণ্য ভারী ট্রাকযোগে এ রাস্তা দিয়ে পরিবহন করতে হয়। রাস্তার প্রায় জায়গায় পিচ, পাথর ও খোয়া কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় বড় বড় খানাখন্দক সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।

সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই বৃষ্টির পানি জমে মরণ ফাঁদে পরিণত হয় রাস্তাটি।

উপজেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাবার পর থেকে নিজেদের উদ্যোগে ঐ স্থানে গাছের ডাল দিয়ে বিপদজনক সংকেতিক চিহ্ন দিলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। এই রাস্তা দিয়ে অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে প্রতিনিয়ত মারাত্মক ঝুকি নিয়ে এই সড়কটি অতিব্যস্ততম।

 

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি নাকের ডগায় থাকলেও কোন লাভ হচ্ছে না স্থানীয় ভুক্তভোগীদের।

এলাকার স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে রাস্তাটি ভেঙ্গে খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় চলাচলকৃত যাত্রীবাহি যানবাহন প্রায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে অনেকেই আহত হচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে স্থানীয় অনেকেই জানায় এ পর্যন্ত ৫ জন পথচারী নারী-পুরুষ ভাঙ্গা স্থানে পড়ে আহত হয়েছে।

 

এই বাজারে রয়েছে বড় ধানের হাটের পাশাপাশি রয়েছে কাঁচা মালের হাট, কলেজ, হাইস্কুল, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

এলাকার স্থানীয়রা বলেন, আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তাটির বেহালদশা গত কয়েক মাস ধরে। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে রাস্তাটি আরও ভেঙ্গে যায়। অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে এখানে বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।