অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুুুুলনাঃ
খুলনার কয়রা উপজেলার মেরামত না হওয়া দু’টি স্থানের বাঁধ পরিদর্শণ করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমে মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া এবং পরে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাঁতিরঘেরী এলাকা পরিদর্শণ করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে এ্যালাইমেন্টসহ সকল প্রতিবন্ধতার বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় ফলপ্রসু হওয়ায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভেঙে যাওয়া বাঁধের দু’টি স্থান মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে পুণর্বাসনের আশ্বাসও দেন।
জেলা প্রশাসক প্রান্তিক মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রাখার বিষয়েও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া তিনি মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য দেওয়া ঘরসমূহ পরিদর্শণ করেন এবং উপকারভোগীদের খোঁজখবর নেন।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে কয়রায় পাউবোর বাঁধের ২১টি স্থান ভেঙে বিস্তির্ণ এলাকায় প্লাবিত হয়। পরে অন্য সব স্থানে বাঁধ মেরামত করা হলেও উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাঁতিরঘেরী’র বাঁধ মেরামত হয়নি। ফলে সেখানকার বাসিন্দারা দুই মাস ধরে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, বাঁধ ২ টা জাইকার অর্থায়ানে কাজ করার পরিকল্পনা হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঐ বাঁধ দু’টি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা দ্রুত কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
পরিদর্শণকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী, জাইকার কনসালট্যান্ট এবং এলাকার জনসাধারন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply