[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

ভান্ডারিয়ায় মাত্র ৮ টাকায় সিজার অপারেশন দুশ্চিন্তায়, প্রাইভেট ক্লিনিক গুলো৷

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম এফ এইচ রাজু
ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ

১৯৮১ সালে উদ্বোধন করা হয় ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রথমে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটির উদ্বোধন হয়। ২০১২ সালে ৫০ শয্যায় উন্নিত হয়ে বর্তমানে ২০২৩ সালে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ভবন উদ্ধোধন হলেও ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে। কখনো গাইনি ডাক্তার আছে তো অ্যানেস্থেসিয়া নেই।

কিন্তু দীর্ঘ ৪১ বছরের অপেক্ষার পর চালু হলো প্রসূতিদের সিজারিয়ান (সিজার অপারেশন) সেকশন সেবা।

মঙ্গলবার ২ মে প্রথমবারের মতো দরজা খুলল সিজারিয়ান অপারেশন থিয়েটারের। দুপুরে এক প্রসূতি মহিলার সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। আর এতেই খুশি দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীর স্বজনরা।

ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র ৮ টাকা খরচে এমন চিকিৎসা সেবা চালু হওয়ায় আনন্দিত এই অঞ্চলের সর্বসাধারণ। আনন্দে ভাসছেন হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে সেবিকারাও।

সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা সাইফুল বলেন, প্রথমে কিছুটা ভয়ে ছিলাম কারণ এটি হাসপাতালে প্রথম সিজার। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে সিজার সম্পন্ন হওয়ার পর খুবই উপকৃত হয়েছি। বাহিরে সিজার করলে বারো থেকে পঁনেরো হাজার টাকা খরচ হতো। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।

এদিকে, সিজার অপারেশন চালু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শর্মি রায়। তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবসে প্রথম সিজার করা হয়। প্রথম সিজার অপারেশন হওয়ার পর নবজাতক ও মা উভয়ই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।

সিজারিয়ান অপারেশনে অংশ নেন জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা: মনি দাস, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থিসিয়া) ডা: সুবেন্দু তালুকদার, ডা: রেজাউল ইসলাম।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মি রায় আরও বলেন, আমাদের এখানে ডাক্তারের সংকটের কারণে সিজার বন্ধ ছিল। সেটি আমরা চালু করতে সক্ষম হয়েছি। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর প্রথম সিজারে আমরা সফল হয়েছি।

এ সফলতায় হাসপাতালের সকল ডাক্তার ও নার্সগণ সহযোগিতা করেছেন। ওটি শেষে প্রসূতিসহ নবজাতককে হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এখানেই প্রসূতি এবং নবজাতককে সেবা দেওয়া হবে।

৩ এপ্রিল বিকেলে সদ্য জন্মানো শিশুটির ও প্রসূতি মায়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. সাইফুল বলেন, অপারেশনের ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেছে এখনো পর্যন্ত মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন৷

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *