[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

রোটারী হেলথ সেন্টারে ঝিকরগাছার প্রসুতির মৃত্যু : দু’লক্ষ টাকায় দফারফা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শাহাবুদ্দিন মোড়ল ঝিকরগাছা যশোর :

যশোর মুজিব সড়কের রোটারী হেলথ সেন্টারে সিজারিয়ার অপারেশন করতে গিয়ে ঝিকরগাছার এক প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে দু’লক্ষ টাকায় দফারফা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, ঝিকরগাছা উপজেলার ৪নং গদখালী ইউনিয়নের বামন আলী চাপাতলা গ্রামের কসাই আমিনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী শাহিদা বেগম তৃতীয় সন্তান হওয়ার জন্য যশোর মুজিব সড়কের রোটারী হেলথ সেন্টারে সিজারিয়ার অপারেশন করতে নিয়ে যায় তার পরিবারের সদস্যরা। রোটারী হেলথ সেন্টারের গাইনী ডাক্তার সালেহা খাতুনের দ্বারা সিজারিয়ার অপারেশন করার সময় তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি তুলেছেন। রোগীর মৃত্যুর ঘটনা লোকাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগীর ভাই রোটারী হেলথ সেন্টারে ভাংচুর করে এবং রোগীর মৃত্যুর কারণে দশ লক্ষ টাকার দাবি করেন। রোটারী হেলথ সেন্টার কর্তৃপক্ষ দু’লক্ষ টাকা দিয়ে ঘটনার বিষয়ে দফারফা করেন। রোগীর পরিবারের লোকজন রাতেই মৃত দেহ নিয়ে এসে তড়িঘড়ি করে বামন আলী চাপাতলা গ্রামে দাফন কার্য সম্পন্ন করেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছে। তবে ঘটনার বিষয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন প্রসুতির ছোট বোন শেফালী সুলতানা। তিনি বলেন, ডাক্তাররা আমাদের কাছে এসে বলেন রোগীর অবস্থা ভালো না। আপনারা আপনাদের রোগীকে সদরে অথবা খুলনাতে নিয়ে যান। এই কথা শোনার পরে আমি অপারেশন থিয়েটারের প্রবেশ করে আমার বোনের গায়ে হাত দিয়ে দেখি তার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। এরপর রোটারী হেলথ সেন্টার কর্তৃপক্ষ তাড়াহুড়া করে এক পর্যায়ে আমাদেরকে না জানিয়ে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যায়। পরর্বতীতে সদরের আইসিইউতে রেখে দিয়ে কিছুক্ষণ পরে বলেন আমার বোন মারা গেছে। মৃত প্রসুতির মামা জানান, আমি শুনেছি যে দুই লক্ষ টাকা দিয়েছে।
রোটারী হেলথ সেন্টারের রিসিপশন থেকে সিনথিয়া আক্তার বলেন, রোগীটা ক্রিটিকাল ছিলো বলে সদরে রেফার করে দেওয়া হইছিলো। পরবর্তীতে কি হয়েছে আমরা বলতে পারবো না। রোগী পক্ষ থেকে আমাদের কিছু বলেনি। টাকা লেনদেন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ওটা জানি না।
রোটারী হেলথ সেন্টারের ম্যানেজার বলেন, ডাক্তার আমাদের কাছ থেকে ওটি ও বেড ভাড়া করে নিয়ে কাজ করেছে। তারপর কি দিয়ে কি হয়েছে সেটা ডাক্তার জানে।
সিভিল সার্জন ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, এই বিষয়ে আমাদেরকে কেউ জানাননি বা অভিযোগ করেনি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *