[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জীবন যুদ্ধের গল্প।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জীবন যুদ্ধের গল্প।

নিয়ামুল ইসলাম বগুড়া প্রতিনিধি।

পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন। তবুও তাদের জীবন থেমে নেই। বেঁচে থাকার জন্য তারা জিবনের সাথে লড়াই করে যাচ্ছেন। তাদের জীবনের সংগ্রাম যেন শেষ হয় না।

তার বাস্তব উদাহরণ হলো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মোঃ চান মিয়া। তিনি বগুড়া কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের হারলতা গ্রামে একটি হতদরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স ৪৩ বছর। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ৬ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি একমাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তিনি জন্ম থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নন। জন্মগতভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী না হলেও দুনিয়ার আলো সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। কারণ ৩ বছর বয়সে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।

কীভাবে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন..? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন। আমার বয়স যখন তিন বছর, তখন আমার টাইফয়েড জ্বর হয়েছিল। আমার মা বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এমন অবস্থায় ডাঃ আমাকে ইনজেকশন করেন। এরপর আস্তে আস্তে আমার চোখের উপর একটি সাদা আবরণ পড়তে শুরু হয়। এবং পুরো শরীরে ঘা সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে ডাঃ কে জানানো হলে তিনি আমার মা-কে বলেন আপনার ছেলের জ্বর সেরে যাবে কিন্তু সে চোখের জ্যোতি হারিয়ে ফেলবেন। এভাবেই আমি চোখের জ্যোতি হারিয়ে ফেলেছি।

দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেললেও সংসারের হাল ছারেননি। তার পরিবারে রয়েছে ৪ জন সদস্য। বাকিরা তার মতো প্রতিবন্ধী নন। এক ছেলে ও এক মেয়ের পড়া লেখার খরচ যোগাতে তার বেগ পোহাতে হচ্ছে। তবুও তিনি হাল ছারেননি। অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে কারো সাহায্যে ছাড়াই কাহালু দুর্গাপুর থেকে বগুড়া সাত মাথা, টিএমএসএস গ্যাস পাম্প এবং শাহজাহানপুর জব্বার হোটেলে আছেন। এবং গাড়ির যাত্রী ও বিভিন্ন মানুষের থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে তার পরিবারের জীবন পরিচালনা করছেন। শুধুমাত্র জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ ২৫ কিলো পথ অতিক্রম করে আছেন। তার এই জীবন সংগ্রাম মানব মনে নারাদেয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *