নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।।
গত দুই দিন ধরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণে ফুলেফেঁপে উঠেছে বহু নদী ও জলপথ। তার উপর মড়ার মাথার উপর খোড়ার গায়ের অবস্হা। পশ্চিম বাংলার বহু নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তার উপর ফের দামাদর নদীর উপর ডিভিসির জল ও ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যায় ফলে পশ্চিম বাংলার বর্ধমান জেলা ও মালদহ জেলা মুর্শিদাবাদ জেলা সহ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া এবং হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত বহু জনবহুল শহর ও এলাকা ডুবতে চলেছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম বাংলার বর্ধমান জেলা ও ঝাড়খণ্ডের বহু জেলা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। সেখানে সেনাবাহিনীর সাহায্য উদ্ধার কাজ করে যাওয়া হচ্ছে। পশ্চিম বাংলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উৎবিগ্ন পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ পশ্চিম বাংলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভ্যারসুয়াল বৈঠক করেন পশ্চিম বাংলার মুখ্যসচিব শ্রী হরিকৃষ দ্বিবেদী ও এন ডি আর এফ এবং ভারতের সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে আজ বর্ধমান জেলায় ত্রাণ বিতরণ করতে যাচ্ছে পশ্চিম বাংলা সরকারের বস্ত্র সচিব শ্রী রাজেশ পান্ডে। তবে ডি ভি সি র জল ছাড়ার বিষয়ে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিম বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের সহ উত্তরবঙ্গের বহু নদীর জলধারা ছাপিয়ে বিপদ সীমারেখা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের ও বিহার রাজ্যের প্রবল বৃষ্টির জল পশ্চিম বাংলার নদীতে পতিত হবার ফলে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। পশ্চিম বাংলা সরকারের প্রকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মোকাবেলা বাহিনীর সদস্যরা তৈরি আছে উদ্ধার কাজ করার জন্য। তবে বহু যায়গায় বন্যা কবলিত মানুষের উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।।
Leave a Reply