[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

নারায়নপুর ডিগ্রী কলেজ সভাপতি পদে বহাল রাখতে সাইফুল ইসলামকে চায় অভিভাবক মহল।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ রিফাত পাটোয়ারী (চাঁদপুর) সংবাদদাতা:

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা ঐতিহ্যবাহী নারায়নপুর ডিগ্রী কলেজ সার্বিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি মন্ত্রণালয়) মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এর একান্ত সচিব জনাব সাইফুল ইসলাম খোকন (উপ-সচিব) কে পুনরায় নারায়নপুর ডিগ্রী কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি পদ বহাল রাখার জোর দাবী জানিয়েছেন, কলেজ অভিভাবকসহ ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।

দলমত নির্বিশেষে সকলে, কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি,শিক্ষর্থীদের মেধা বিকাশের কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন,শিক্ষার্থী কলেজ বিমূখ থেকে ফিরিয়ে আনাসহ নানা বিষয় যুগোপযোগী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে দৃষ্টন্ত স্থাপন করেছেন তিনি ।

সরে জমিনে জানা যায়,বিগত ২০২০-২২ সালের কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সার্বিক উন্নয়নের বিবরনীতে নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজ গভর্ণিং বডির গত দু’বছরের সফলতায় ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ সাল থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত গভর্ণিং বডির দায়িত্ব নিয়ে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে সম্পাদন করেছেনঃ- ১. সভাপতির ব্যক্তিগত অর্থায়নে কলেজের সকল বিষয় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য একটি মান সম্মত ওয়েবসাইট নির্মাণ করেছেন ২. কলেজের জায়গার দাগ নকশা অনুযায়ী পরিমাপ করে সীমানা পিলার বসানো হয়েছে ৩. কলেজের জায়গা কলেজের নামে বিএস খতিয়ান খারিজ করাসহ এবং ৪. শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী করার লক্ষ্যে LEDP এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে কোর্স সম্পন্ন করা হয়েছে।

৫. কলেজের অর্থ সংকট নিরসনের লক্ষ্যে উন্নয়ন তহবিল গঠন করে দেশ বিদেশী শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে উন্নয়ন খাতে ব্যায়ের সুযোগ করা হয়, (সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ ২৭ লক্ষ টাকা)
৬.উন্নয়ন ফান্ড থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে কলেজের নিম্ন ভূমি ভরাট কাজ সম্পন্ন করা হয় ৭. সভাপতি (সাইফুল ইসলাম উপ-সচিব) ব্যক্তিগত অর্থায়নে (কলেজের ফটোকপির কাজ করতে) একটি ফটোকপি মেশিন ক্রয় করে দিয়েছেন ৮. কলেজের ইতিহাসে দুইটি অংশ গ্রহণমূলক সফল অভিভাবক সমাবেশ, যাহা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনিক বডির উপস্থিতিতে এবং নিরাপত্তার ছাদরে ডেকে এবং জমকালো আয়োজনে সফল করা হয়েছে ৯. চারতলা বিশিষ্ট ১টি ভবন মঞ্জুর করা হয়েছে। (যাহা একতলা সম্পন্ন করতে ব্যায় বরাদ্দ ৮৭ লক্ষ টাকা )
১০. আইসিটি মন্ত্রণালয়ের চৌদ্দ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব কলেজ কক্ষে স্থাপন করা হয়েছে ১১.কলেজের নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এতে প্রায়১২ লক্ষ টাকা ব্যয় ও অতি দ্রুত অন্ধকারমুক্ত সৌর বিদ্যুৎতের সু-ব্যবস্থা করা হয় ১২.কলেজের সকল আয় ব্যয় ব্যাংকিং সিস্টেমে চালু করণ সু- ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১৩. সর্বক্ষেত্রে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনয়ন সুন্দর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১৪. কিশোর গ্যাং অথবা কোনো দুষ্ট চক্র, যাতে কলেজের উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ না করতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং প্রশাসনিক সকল প্রকার জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের আওতায় আনা হয়েছে।

১৫. কলেজ একাডেমিক সর্বোচ্চ জিপিএ -৫ পাওয়ার বিষয়ে চেষ্টা করণ করা হয়, ১৬. কলেজ ফান্ড হতে শিক্ষক কর্মচারীদেরকে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা বেতন ও বোনাস প্রদান করা হয়েছে। যা ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বন্ধ ছিলো ১৭.কলেজের পুকুর ভরাটসহ অবৈধ দখলদার হতে জমি পুনরুদ্ধার করে বর্ডা পিলার বসানো হয়েছে ১৮.কলেজের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কলেজ ক্যাম্পাসের বাহিরে একটি অস্থায়ী বানিজ্যিক ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। এছাড়াও বিগত দু’বছরে আরোও উল্লেখযোগ্য এবং প্রশংসিত দৃশ্যমান কাজ সম্পাদন ও সম্পন্ন করা হয়েছে,১৯. শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সঠিক নিয়মে উপস্থিতি মনিটরিংয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি সচল রয়েছে।

এ ছাড়াও কর্মপরিকল্পনায় যে সকল অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়নের অপেক্ষাধীনঃ- পর্যাক্রমে এগুলো হলো ঃ-১. একটি নান্দনিক গেইট নির্মাণ ২. একটি স্মার্ট প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালুকরণ৩. ডিজিটাল একাউন্ট সিস্টেম৪. একটি কলেজ হোষ্টেল সামনে পুকুরসহ ৫. সামনের বাউন্ডারি ৬.কলেজের অভ্যন্তরীন নান্দনিক রাস্তা ও প্রয়োজনীয় মিনি পার্ক টাইপ স্মার্ট ক্যম্পাস সাজানো আর্থিক ব্যবস্থা,৭.ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ হতে ৪৫+১৫= ৬০ লক্ষ টাকা কাজের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন যা প্রধান প্রকৌশলীর জিও জারীর অপেক্ষাধীন ৯.পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে কলেজের প্রশাসনিক ও আবাসিক ভবনসহ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষে একটি সমন্বিত প্রকল্প তৈরি করে আনুমোদনের প্রচেস্টা করণ ১০.তাছাড়া ও প্রতিটি ক্লাস রুমে আইপি ক্যামরা স্থাপন, ১১.প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীদের ডাইরি ও শিক্ষক মূল্যায়নের ব্যবস্থাকরণ ১২.একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পাঠদান প্রক্রিয়ায় প্রতিটি শিক্ষককে ব্যক্তিগত জবাবদিহিতায় অন্তভূক্তকরণ ১৩.শ্রেষ্ঠ পিতামাতা বা অভিভাবক নির্বাচন শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণসহ অভিভাবকের দায়িত্বশীলতার জন্য অভিভাবক সমিতিকরণ।

একাধিক শিক্ষার্থী অভিভাবক ভোরের ডাক প্রতিনিধিকে জানান,বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ব-বিদ্যালয়সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সবিনয় অনুরোধ সাইফুল ইসলাম খোকন (উপ-সচিব) কে পুনরায় ২০২২-২৪ ইং সাল, কলেজ সভাপতি পদ বহাল রেখে কলেজের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার সুযোগ করে দেওয়ার সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন অভিভাবকসহ স্থানীয় সর্বস্তরের জনগন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *