২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

১ কোটি টাকার ঋন খেলাপী মাহীর মনোনয়ন বৈধ?rafiq

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

১ কোটি টাকার ঋন খেলাপী মাহীর মনোনয়ন বৈধn
♦জসিম মাহমুদ♦
বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীর মনোনয়নের বৈধতা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় সোয়া ১ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ না করার অভিযোগ থাকার পরও তার মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে! মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সামনে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ঋণ আদায় না হওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে আনুষ্ঠানিক আপত্তি জানিয়েছিলেন। তার আগে বাংলাদেশ ব্যাংককেও লিখিতভাবে তারা তাদের আপত্তির কথা জানান। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এসব অভিযোগ-আপত্তি আমলে নেয়া হয়নি। বরং আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ঋণ ফেরৎ না পাওয়ার অভিযোগ আমলে না নিয়েই মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিকল্পধারা তথা যুক্তফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মাহী বি. চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার সায়লা ফারজানা মাহীর মনোনয়নপত্র চ্যালেঞ্জ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। ডিসি বলেন, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দাঁড়িয়ে আপত্তি করেছিলেন। কিন্তু তারা ওই প্রার্থীকে কত টাকা ঋণ দিয়েছেন, কত পরিশোধ হয়েছে এবং কত টাকা পাওনা? তাৎক্ষণিক তার কিছুই জানাতে পারেন নি।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী তনয় মাহী বি. চৌধুরী শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। তিনি এর আগেও মুন্সীগঞ্জে তার পিতার ছেড়ে দেয়া আসনে (উপনির্বাচনে) এমপি হয়েছিলেন। সূত্র মতে, মেসার্স এন্টারটেইনমেন্ট রিপাবলিক নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী মাহী বি চৌধুরী। ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য ২০০৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি) থেকে তিনি ৩৬ মাস মেয়াদে ৩০ লাখ টাকার ঋণ নেন। কিন্তু সেটি সময়মতো পরিশোধ করতে পারেন নি।
ঋণ পরিশোধের সময় দেড় বছর বাকি থাকতেই (২০১০ সালের জুনে) ঋণটি পুনঃতফসিলের (রি-শিডিউল) জন্য তিনি প্রতিষ্ঠান বরাবর আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই সময়ের পরিচালনা পর্ষদ (বিকল্পধারা মহাসচিব শিল্পপতি মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের নেতৃত্বাধীন) ঋণটি পুনঃতফসিলের অনুমোদন দেয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ঋণ আদায়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গ্রহীতাকে ৬৫ লাখ ১৪ হাজার ৫শ’ ৬২ টাকা পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠায় বিআইএফসি।
প্রায় তিন মাস পর (২০১৫ সালের ২৯শে মার্চ) ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন মাহী। সেই সময়ে তার কাছে ঋণের বকেয়া ছিল ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৩শ’ ২০ টাকা। ওই সময়ে বাকি টাকা পরিশোধ না করায় ২০১৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর সিএল ব্যালেন্স দাঁড়ায় ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৮শ’ নব্বই টাকা। ২০১৭ সালের মার্চে ঋণ গ্রহীতাকে বাকি টাকা পরিশোধের অনুরোধ করে ফের চিঠি পাঠায় প্রতিষ্ঠানটি। ওই চিঠির জবাবে মাহী বি. চৌধুরী একটি এনওসি’র কপি প্রেরণ করেন। ওই এনওসি কীভাবে মাহী পেলেন তার কোনো রেকর্ড সংরক্ষিত না থাকায় সেই সময়ের এমডি ইনামুর রহমানকে শোকজ করা হয়। সাবেক ওই ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির তরফে দু’দফা চিঠি দেয়া হলেও তিনি আজ অবধি এর কোনো জবাব দেননি। মাহী বি. চৌধুরীর ওই ঋণটিকে ’মন্দ ও ক্ষতিজনক’ পর্যায়ে রেখেছে বিআইএফসি। সর্বশেষ হিসাব জানিয়ে (২৫শে নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত) বিআইএফসি মাহীর কাছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৩৪ টাকা ৬৫ পয়সা পায় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে। এ সম্পর্কে মাহী বি. চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, এটা সেটেল ম্যাটার। এটা এখন বলা হচ্ছে কেন? সূত্র : মানবজমিন

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।