১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা করতে গিয়ে গনপিটুনিতে গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বসাকপাড়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালাতে গিয়ে পাল্টা গনপিটুনি খেয়েছেন সাটুরিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক। এঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে সাটুরিয়া বসাক পাড়ার দীপক বসাকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বসাক পড়ার মালিক দীপক বসাক (৩৩), তার স্ত্রী টুম্পা বসাক (২৫), বাবা দুলাল বসাক (৬৩), শ্বশুর দীনেশ বসাক ও শ্যালক দ্বীপ বসাক (২৩) আহত হয়েছেন।

পাল্টা হামলায় আহত হন সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক (৩৫) ও তার সহযোগী শাহীনুর ইসলাম (২৫)।

সাটুরিয়া উপজেলার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের ফজলুল মাস্টারের ছেলে আবদুল খালেক। আর একই গ্রামের জুলহাশের ছেলে শাহীনুর।

আহতদের সবাইকে সাটুরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দিলেও যুবলীগ নেতা আবদুল খালেকের অবস্থা গুরুতর থাকায় তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।

দীপক বসাক বলেন, শনিবার সকালের খাওয়া শেষে তিনি এবং তার স্ত্রী বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে আবদুল খালেক তার ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে টেনে-হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করতে চান।

প্রতিবাদ করলে আবদুল খালেক তাকে এবং তার স্ত্রীসহ অন্যদের মারধর করে। হামলার কথা শুনে এগিয়ে আসলে তারা তার শ্বশুর ও শ্যালককেও মারধর করে। একপর্যায়ে বাড়ির সবাই মিলে হামলাকারীদের ধাওয়া করে। এতে খালেক ও শাহীনুর আহত হন।

দীপক বসাক অভিযোগ করে বলেন, আবদুল খালেক তার কেনা ৭ শতাংশ জমির দখল করতে চাচ্ছে। ৬/৭ মাস আগে তিনি তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিলেন। তখন তিনি ওই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।

সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিলীপ কুমার মজুমদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে তিনি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শনিবার বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।-দেশ রুপান্তর

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।