৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

শিবরাত্রি পালন করা হয় কেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শিবরাত্রি হল বাঙালীর একটি বহু প্রাচীন ব্রত। বহুকাল ধরে এই ব্রত প্রচলিত। ফাল্গুন মাসে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবরাত্রি পালিত হয়। বাঙালীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ব্রত। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে। প্রায় সব বাঙালী মহিলারা কখনও না কখনও এটি পালন করে থাকেন। কিন্তু শিবরাত্রি ঘিরে কেন এত জনপ্রিয়তা? কেন মহিলারা শিবরাত্রি করেন ভেবে দেখেছেন?
বিবাহিত এবং আবিবাহিত সব মহিলারাই শিবরাত্রি করেন। বিশেষত গ্রামাঞ্চলের দিকে অনেক অল্প বয়স থেকেই মেয়েরা শিবরাত্রি করেন। এই দিনটি মহিলাদের কাছে পবিত্র একটি দিন। বলা হয় শিব প্রথম লিঙ্গ রুপে প্রকাশ পেয়েছিলেন এইদিনে। কিন্তু এই দিনের এত মাহাত্ম্য কেন? অনুমান করা যায়, এই দিনে গ্রহ নক্ষত্রের বিশেষ সংস্থান হয়। যার ফলে মানুষ তার ভেতরে শুভ শক্তির অনুভব করেন। মহিলারা বিশ্বাস করেন যে, এই দিনটি পালন করলে পাপের নিষ্কৃতি হয় এবং মোক্ষ লাভ করা যায়। এবং দেখা গেছে অনেকের সত্যি বিশ্বাস আছে যে, শিবরাত্রি করলে ভেতরের শক্তি জাগ্রত হয়। এবং ভগবান শিব নাকি সন্তুষ্ট হন।
এখন এটি বেশ গবেষণার বিষয় যে, শিবরাত্রির জনপ্রিয়তা আগের থেকে বেড়েছে। যেসব আধুনিক শহরে ধর্ম, পূজার তেমন ভাবে চল নাই এখন শিবরাত্রি সেখানেও মহাধূমধাম করে শুরু হয়েছে। ইংরেজী আদব কায়দায় শিক্ষিত মহিলারা যাদের দেখলে হয়তো মনেই হবেনা তাদের মধ্যেও শিবরাত্রি করার একটা প্রবনতা দেখা যাচ্ছে।

মহাদেব শিবের সাম্রাজ্য ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে। দেশ জুড়ে কেদারনাথ, বদ্রিনাথ, কাশি বিশ্বনাথ, আবার মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশেও তিনি পূজিত হন। আমরা জানি যে উমা যেমন বৎসরান্তে বাপের বাড়ি আসে আবার সাবাই কে কাঁদিয়ে বাপের বাড়ি থেকে যাত্রা করে পতিগৃহে। শৌর্যময়ি দেবিকে যেমন ঘরের মেয়ে বানিয়ে ফেলা হল ঠিক তেমন ভাবেই স্ত্রীকে পতিব্রতের লাগাম পরিয়ে দেওয়া হল। তাদের বিভিন্ন উপবাস এবং ব্রত পালনে নিযুক্ত করা হল। শোনা যায় তখন থেকেই মেয়েদের মধ্যে তখন থেকেই শিবরাত্রি পালন করার প্রবনতা দেখা যায়।

এগুলো আসলে মেয়েদের গৃহে বন্দি করে রাখার জন্য, তাদের স্বাধীনতা হরণ করার জন্যই প্রচলিত কয়ার হয়েছিল। এর মূলে ছিল পিতৃতান্ত্রিক সমাজের কার্যকলাপ। শিবরাত্রি মহিলারা কেন পালন করেন তার কোন একটি কারন নেই। বহু মত প্রচলিত। ব্রত হল কাউকে ভালোবেসে কাছে পাবার বাসনা। হয়তো সেই জন্যই মহিলাদের মধ্যে এতি বেশি জনপ্রিয়। আরও মনে করা হয় যে, শুধু শিবের মত বর পাবার জন্যই নয় জীবনের সাফল্য আর সমৃধি চেয়েও মেয়েরা এই ব্রত করেন।

উল্লেখ আছে শিবরাত্রিতে বাবহৃত প্রত্যেকটি উপাদানের উপকারিতা আছে। তাও মহিলাদের শিবরাত্রি করার একটি কারন। এছাড়া সকলেই তার সংযমশক্তি বাড়াতে চান। মহিলারা বিশেষ করেন এই ব্রত করেন কারন তাদের বিশ্বাস আছে এর দ্বারা সংযম শক্তি বাড়ে।

প্রত্যেক মহিলাই তাদের প্রিয়জন , তাদের পরিবারকে অত্যন্ত ভালোবাসেন দায়িত্বের সঙ্গে সামলান পরিবারকে। তাই পরিবারের সকলের ভালোর জন্য প্রিয়জনের মঙ্গল কামনা করে এই ব্রত করেন। এছাড়াও প্রচলিত আছে যে, মেয়েরা যারা শিবের মত বর চান তাড়া এই ব্রত করেন। শিবরাত্রির ব্রত করলে অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এছাড়াও প্রত্যেকের জীবনে কিছু না কিছু সমস্যা থাকে, এবং মহিলারা বিশ্বাস করেন ভগবান শিব হলেন সৃষ্টিকর্তা তাই তার কৃপায় সমস্ত সমস্যা দূর সম্ভব। এই বিশ্বাস থেকেও তারা শিবরাত্রি করেন। এই সব বিভিন্ন কারনেই মহিলারা শিবরাত্রি করেন। তাদের মধ্যে এত জনপ্রিয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।