১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।সোমবার

লালমনিরহাটে ভারতীয় ফেনসিডিলের পরিবর্তে জায়গা করে নিয়েছে “এস কাফ”।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল পাওয়া যাচ্ছে না সীমান্ত জেলা লালমনিরহাটে। বিষয়টি জানার পর অনেকেই হয়তো স্বস্তি পাবেন। ভাববেন আমার ছেলেটা এবার তাহলে শোধরাবে। আমার ভাইটি তাহলে ফেনসিডিলের মত এই মরন নেশা ছেরে ঘরে ফিরে মায়ের কোল জোড়াবে। বাবার বাধ্য সন্তান হয়ে ব্যবসা সামলাবে। কিন্তু তা আর হয় কিভাবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় আর সীমান্তে কড়াকড়ি নজরদারীর কারণে ফেনসিডিল এখন দুষ্প্রাপ্য হলেও, নতুন মাদক “এস কাফ” দখলে নিয়ে নিচ্ছে ফেনসিডিলের জায়গা। আর এই মাদক ইতিমধ্যে ভারত সীমান্ত পার হয়ে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। “এস কাফ” নামের নতুন এই মাদক বাংলাদেশে আনছে যারা তারাই ইতিপূর্বে ফেনসিডিলের কারবার করতো।

 

জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার দূর্গাপুর, মোগলহাট সীমান্ত রুট ও কুলাঘাট-বড়বাড়ী রুট দিয়ে ভারত থেকে আসা ফেনসিডিলের জায়গায় এখন “এস কাফ” নামের মাদক পাচার হয়ে আসে। পাচার হওয়া এসব মাদকদ্রব্য তুলে দেয়া হয় খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতাদের হাতে। আর তা স্থানীয় ফেনসিডিল সেবীদের চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে বাহিরে। ফেনসিডিল দুষ্প্রাপ্য হওয়ায় নতুন এই মাদক সেবন করে বুদ হয়ে থাকছে যুবকেরা।

 

ফেনসিডিলের মতো দেখতে আর কোডিট ফসফেট মেশানো এ মাদক সেবনকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, “এস কাফ” নামের নতুন মাদক সেবন করলে, অনুভূতি অনেকটা ফেনসিডিল সেবনের মতো হলেও, অনেক সময় পেটে ব্যথা অনুভব হয়, মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা করে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট ফুটকুনি ওঠে আর তা অনেক চুলকায়। মুখ শুকিয়ে আসে।

 

এদিকে অনেক মাদকসেবীর অভিভাবক বলছে, কোনও ভাবেই কি মুক্তি মিলবেনা সন্তানদের। দেশে একের পর এক আসছে নতুন নতুন মাদকের ফর্মূলা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে, শহরের বটতলা এলাকার এক মাদকসেবীর বাবা ও এক কলেজ শিক্ষক বলেন, রক্ষা করুন আমাদের দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে। সে সাথে বর্ডার জুড়ে মাদক চোরাকারবারি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

 

নতুন এই মাদক সম্পর্কে লালমনিরহাট মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খাইরুল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, এটি যদি ভারত থেকে এসে থাকে সে ক্ষেত্রে আমরা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলতে পাড়বো সেটি মাদক কি না। আর সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি। ০১৭৩৫৪৩৮৯৯৯

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।