১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪০টি পরিবার পানি বন্দি।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪০টি পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ওই প্রকল্পের অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন তারা।

প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে প্রথম পর্বে ২২৫টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে শানেরহাট দামোদরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৪০টি ভূ- গৃহহীন পরিবারের ঘর বরাদ্দ হয়। ১৭৫ বর্গফুট আয়তনের ১টি মুল টিনের ঘরে ১২টি পিলারসহ বারান্দায় ৫টি এবং ল্যাট্রিনে ৪টি পিলার সম্বলিত ঘর নির্মাণে প্রতিটি ঘরে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। প্রকল্প কমিটির সভাপতি তৎকালীন ইউএনও টিএমএ মমিন নিজেই ওই সব ঘর নির্মাণ করেন।

ঘর নির্মাণে পার্শ্ববর্তি ঘোড়াঘাট উপজেলা থেকে শ্রমিক ভাড়া করে ঘরের মেঝে ঢালাই ছাড়াই পিলার স্থাপন করা হয়েছিল। আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা দফির মন্ডল বলেন, দু বছর আগে আমাদের ৪০টি পরিবারের জন্য ঘর বানিয়েছে এখনও অনেক কাজ বাকি আছে। দামদরপুর গ্রামে এক সাথে আমরা ৪০টি পরিবারের লোকজন বসবাস করছি অতি কষ্ট করে। রোমানা বেগম বলেন, আমাদের ৪০টি পরিবারের জন্য ২০ টি টিউবওয়েল দরকার সেখানে মাত্র ৬টি টিউবয়েল রয়েছে, তার মধ্যে একটি অচল হয়ে পুকুরের মধ্যে রয়েছে।

ভারি বৃষ্টি হলেই আমরা পানি বন্দি হয়ে পড়ি। এছাড়াও তিনি বলেন পানির কারণে আমাদের ঘরের মাটি পুকুরে ভেঙে পড়েছে। ছেলে মেয়েদের নিয়ে বড় কষ্টে থাকতে হয় চারিদিকে পানি আর পানি। রাস্তার উপর দিয়ে পানি বাথরুমে যাওয়া যায় না। বিলের মধ্যে অল্প মাটি কেটে উঁচু করে ঘর ও রাস্তা বানিয়েছে আমাদের খোঁজ কেউ নেয় না। আপনারা সরকারের কাছে আমাদের কস্টের কথা

জানান। শানেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মন্টু বলেন, বিলের মধ্যে

আশ্রয়ণ প্রকল্পের সিদ্ধান্ত তৎকালীন ইউএনও’র। সিডিউল অনুযায়ী নিজের তদারকিতে কাজ সম্পন্ন করেছে বিগত ইউএনও টিএমএ মমিন সাহেব।

উনি নিজে কাজ তদারকি করেছেন। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কয়েকটি

টিউবওয়েল বসিয়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায় জানান, সরেজমিন পরিদর্শণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।