৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

বিষখালী নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাদুরতলা স্কুল, হুমকিতে পরেছে শতাধিক স্থাপনা ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম এফ এইচ রাজুপিরোজপুর প্রতিনিধিঃ

 

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি বিষখালী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত নদী ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে স্কুলটি সম্পূর্ন বিলীনের পথে, কোন ভাবেই রক্ষা করা যাচ্ছে না স্কুলটি। স্কুলটি মঠবাড়ী ইউনিয়নের বাদুরতলা বাজারে অবস্থিত হওয়ায় এটি বাদুরতলা স্কুল নামে পরিচিত।

স্থানীয়রা জানান, ঘূর্নিঝড় ফণীর প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই সময় স্কুলের পূর্ব পাশের অংশটি মালামালসহ বিষখালী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর আম্ফান ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে পূর্বপাশের কয়েকটি রুম ও বারান্দা বিলীন হয়ে গেছে। যে কোন সময় পুরো স্কুলটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে স্কুলের আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া। বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশেই জামে মসজিদ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় বাদুরতলা বাজারের অর্ধশত দোকান, বসতঘর ও গাছপালাসহ কয়েকশত একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভিটামাটি হারিয়ে পথে বসেছেন অনেকে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধ করা না গেলে অচিরেই হয়তো পুরো স্কুলটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফনী ও আম্ফানের প্রভাবে পানি বাড়ায় বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই শুরু হয় বিষখালী নদীর বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন। তীব্র ভাঙনে মঠবাড়ী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বাদুরতলা লঞ্চঘাট, বাদুরতলা বাজার, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আশপাশের সড়ক এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে অর্ধশত দোকান, শতাধিক বসতবাড়ি ও বাদুরতলা জামে সমজিদসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। এছাড়া বাদুরতলা-পুখরীজানা-মানকি সুন্দর রাস্তা ও বাদুরতলা-চল্লিশ কাহনিয়া রাস্তাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে মঠবাড়ি ও বড়ইয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

স্থানীয় অভিভাবক মহল জানান, বাদুরতলা গ্রামে একটি মাত্র মাধ্যমিক স্কুল যেখানে আমাদের সন্তানরাসহ কয়েকশত ছাত্রছাত্রী লেখা-পড়া করে। স্কুলটি নদীতে ভেঙে গেলে আট-দশ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরের স্কুলে অনেক ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া করা আর সম্ভব হবে না। তাই স্কুলটি রক্ষা করা জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া একান্ত প্রয়োজন।

মঠবাড়ী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইউব আলী জানান, বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য একাধিকবার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোন উদ্যোগ না নেয়ায় স্কুলটি রক্ষা করা আর সম্ভব হলো না। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্কুলের জন্য স্কুল থেকে ১কিলোমিটার দূরে তার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি ২০ কাঠা জমি দান করেছেন। নতুন জমিতে স্কুলের জন্য একটি ভবন নির্মানের জন্য মন্ত্রনালয় আবেদন করেছি। ভবন নির্মান হলে স্কুলটি সেখানে স্থানান্তর করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।