৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

পাহাড়ে পর্যটন শিল্পে ধস, করোনায় পর্যটকের জনশূন্য

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

রাঙ্গামাটি সদর প্রতিনিধি

বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের ভ্রমণ ও পর্যটন খাতে বড় ধরনের ধস নেমেছে। বন্ধ হয়ে গেছে রাঙ্গামাটির জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলো। দেশের সবচেয়ে বড় জেলা পার্বত্য রাঙ্গামাটির হোটেল-মোটেল গুলোতে সরকারি প্রজ্ঞাপনের আদেশে বন্ধ করে দেওয়া স্পটগুলো বর্তমানে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকের জনশূন্য।

ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণের উপর কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রতিদিন অব্যাহত রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। বন্ধ হয়ে গেছে দামিদামি সব ধরনের হোটেল-মোটেল। একইসাথে রাঙ্গামাটির পর্যটন খাতে নেমে এসেছে বিশাল ধস।

করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন থেকে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সকল পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পর্যটকদের আগমন নিরুৎসাহিত করা হল।

রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটির সকল পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নির্দেশনা যদি কেউ অমান্য করে, তার বিরুদ্ধে জেল জরিমানা ও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাঙ্গামাটি জেলা আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন বন্ধ থাকায় মহামারি করোনা তাদের জীবনের অনেক হিসাবই পাল্টে দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের ছোবলে সারা দেশের সঙ্গে আতঙ্কে রাঙ্গামাটির মানুষও। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ছাড়িয়ে মানুষ এখন অনেকটা রীতিমতো দিশেহারা। এমন পরিস্থিতি মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে রাঙ্গামাটির পর্যটন খাতের ওপর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এরই মধ্যে হঠাৎ ফাঁকা হয়ে গেছে, সরকারি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সসহ জেলার সবক’টি পর্যটন স্পট ও আবাসিক হোটেল-মোটেল। এসব পর্যটন স্পট ও হোটেল-মোটেল এখন জনশূন্য।
প্রভাব পড়েছে রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেলেও। বেকার হয়ে পড়েছেন অনেকে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের আদেশ অনুযায়ী অধিক জনসমাগম এবং পর্যটন এলাকায় ভ্রমণে বিরত থাকার নির্দেশনার পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

রাঙ্গামাটি সরকারি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটন এলাকাটি জনশূন্য একদম নাই বললে চলে। ফাঁকা দাঁড়িয়ে রয়েছে মনোরম ঝুলন্ত ব্রীজ। কর্মচারীরা ছাড়া আশপাশে কোথাও লোকজনের ঘোরাঘুরি নেই। কর্মচারীরা জানান, এমনিতে লোকজন আসছে না। তাছাড়া সরকারের নির্দেশনায় পর্যটন এলাকায় প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হয়েছে।

সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সে ছাড়াও রাঙ্গামাটি শহরের পর্যটনস্পটে গিয়ে কথা তারা জানান, জেলা পুলিশের পলওয়েল পার্ক, সুখীনীলগঞ্জের মিনি চিড়িয়াখানা, রাঙ্গামাটি রিজিয়নের আরণ্যক হলিডে রিসোর্ট, শুভলং ঝর্ণা, কাপ্তাই এবং বাঘাইছড়ির সাজেকের পর্যটন এলাকাসহ সব পর্যটনগুলোতে এখন জনশূন্যতা। ফাঁকা হয়ে গেছে ওই সব পর্যটন এলাকা, বলতে গেলে পাহাড়ে করোনায় পর্যটন শিল্পের উপর বিস্তর প্রভাব পড়েছে। অনেকে সরকারি প্রণোদনার জন‍্য অপেক্ষায় আছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।