৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

দেশে টিকা না নেয়া কোভিড রোগীদের মৃত্যুহার দশগুণ বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশে এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যারা কোভিডের টিকা নিয়েছেন তাদের তুলনায় যারা নেননি তাদের মধ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার দশগুন বেশি। সরকারের রোগতত্ব, রোগ-নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর এই গবেষণা চালিয়েছে।

গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে টিকা না নেয়া যেসব মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে ৩ শতাংশ রোগী মারা যান, অর্থাৎ প্রতি একশ জনে তিনজন। আর টিকা নেয়ার পরও যারা আক্রান্ত হন, তাদের মধ্যে মৃত্যুহার মাত্র ০.৩ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি এক হাজার জনে তিনজন।

১লা অগাস্ট প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়, টিকা নেয়ার আগে যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের হাসপাতালে ভর্তির হারও টিকা গ্রহণের পর আক্রান্তদের তুলনায় বেশি।

টিকা নেয়ার আগেই যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ২৩ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। আর যারা পূর্ণ ডোজ টিকা নেয়ার পর কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৭ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

যারা অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত তাদের মধ্যে যারা টিকা নেননি এমন কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার আরো বেশি। এটি প্রায় ৩২ শতাংশ।

পক্ষান্তরে যারা টিকা নিয়েছেন কিন্তু অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত এমন কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ১০ শতাংশ।

চলতি বছরের মে ও জুন মাসে ত্রিশ বছরের বেশি বয়সী এক হাজার ৩৩৪ জনের উপর এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।

এদের মধ্যে ৫৯২ জন আক্রান্ত রোগী ছিলেন যারা কোভিডের এক ডোজ টিকাও নেননি। আর ৩০৬ জন রোগী ছিলেন যারা কোভিডের দুই ডোজ টিকা নেয়ার অন্তত ১৪ দিন পর কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন।

গবেষণায় দেখা যায় যে, টিকা না নেয়া আক্রান্ত রোগীরা টিকা নেয়া রোগীদের তুলনায় শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত জটিলতায়ও বেশি ভুগে থাকেন। এই হার টিকা না নেয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ১১ শতাংশ এবং টিকা নেয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ।

গবেষণায় অংশ নেয়া টিকা না দেয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৩ শতাংশের আইসিইউ এ ভর্তির দরকার হয়েছিল। আর পূর্ণ ডোজ টিকা নেয়ার পর মাত্র এক শতাংশ রোগীর আইসিইউ দরকার হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদফতর তথ্য বলছে, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ১২ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর মারা গেছে ২০ হাজার ৯১৬ জন। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।