১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৩রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ চার ইউনিয়নবাসী দোয়ারাবাজারে শরীফপুর ব্রিজের নিচে ময়লার ভাগাড়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সেলিম মাহবুব, দোয়ারা থেকে
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার শরীফপুরে ময়লার স্তূপ দেখার কেউ নেই। দূর থেকে আবর্জনার স্তুপ দেখে মনে হয় খোলা ডাস্টবিন। দীর্ঘদিন ধরে এসব ময়লা আবর্জনা পচে গলে চারপাশে ছড়াচ্ছে অসহনীয় দুর্গন্ধ। শুধু ময়লা আবর্জনাই নয়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পরিবেশ বিধ্বংসি  পলিথিন ও প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত বোতল, বিপজ্জনক ভাঙা কাঁচসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য। একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে গিয়ে এসব মিশছে স্থানীয় কালিউড়ি ও সুরমা নদীর পানিতে। আর বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এসব নদীর দূষিত পানিতেই গোসল, রান্নাবান্না ও ধোঁয়ামাঝাসহ গৃহস্থালির কাজ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  ফলে বাতাস ও পানিবাহিত এসব বর্জ্য থেকে মানবদেহে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগ জীবাণু। পরিবেশ দূষণের দৃষ্টিকটু এই দৃশ্যটি পরিলক্ষিত হয় খোদ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা ফরেস্ট অফিস, মাছবাজার ও সিএনজি স্টেশন সংলগ্ন দোয়ারাবাজার-শরীফপুর ব্রিজের নিচে। জনবহুল সেতুগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। কালিউরি নদীর উপর স্থাপিত ওই ব্রিজটি সুরমা, লক্ষীপুর, বগুলা ও বাংলাবাজার ইউনিয়নকে উপজেলা সদরের সাথে যুক্ত করেছে। ওই চার ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ ছাড়াও প্রশাসনের দায়িত্বশীলরাও নিয়মিত যাতায়াত করছেন ওই ব্রিজ দিয়ে। তা সত্বেও প্রশাসনিক কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় জনবহুল ওই ব্রিজের গোড়ায় প্রতিদিনই বাজারের যাবতীয় বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। আর এ থেকে ছড়ানো অসহনীয় উৎকট দুর্গন্ধে পথচারীরা নাক চেপে দম বন্ধ করে কোনোমতে পারাপার হন ব্রিজ। তাই এহেন পরিবেশ বিধ্বংসি পরিস্থিতি রোধকল্পে ব্রিজের গোড়া থেকে বর্জ্য অপসারণসহ  বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে জোরদাবি জানিয়েছেন পথচারীসহ ভূক্তভোগি এলাকাবাসী।
ব্রিজ পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী এখলাছুর রহমান বলেন, ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির উপদ্রবে দোকানে বেশিক্ষণ ঠিকে থাকা যায়না। পথচারী শিউলী বেগম বলেন, দুর্গন্ধে বমিতে ভেতরের নাড়িভূড়ি বেরিয়ে আসতে চায়। সিএনজি চালক স্বপন মিয়া বলেন, এখান থেকে বর্জ্য অপসারণ করা জরুরি। দুর্গন্ধে চলাফেরা অসহনীয়। উপজেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সহসভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন,আমরা চালক-যাত্রীরা সারাক্ষণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অস্বস্তিতে ভূগছি। কেননা সিরিয়াল চালকদের দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয় স্টেশনে।অথচ ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে এক মুহূর্তের জন্যও এখানে স্থির থাকা যায়না। এসব দেখার কেউ নেই।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, ‘পরিবেশ দূষণের বিষয়টি দেখবো। এখানে যাতে বাজারের বর্জ্য না ফেলা হয় সেজন্য শিগগির স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।
এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।