শাহাবুদ্দিন মোড়ল ঝিকরগাছা :
যশোরের ঝিকরগাছায় ক্রমাগতই চলছে অবৈধ বা সরকারি অনুমোদন বিহিন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বন্ধের অভিযান পরিচালনা করছেন যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিভিল সার্জন’র নির্দেশনায় মোবারকপুর জামে মসজিদের সামনে আব্দুর রাজ্জাক কমপ্লেক্সে থাকা অবৈধ বা সরকারি অনুমোদন বিহিন শাপলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ উদ্দীন এর উপস্থিতিতে অপারেশনের অনুমোদন ছাড়াই সিজারিয়ান অপারেশন করায় প্রতিষ্ঠানটির অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজির রুমে তালাবদ্ধ করে দিয়েছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মোহাম্মদ রশিদুল আলম।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে শাপলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হাড়িয়াদেয়াড়া গ্রামের এক গৃহবধুর সিজারিয়ান অপারেশন করেন, শাপলা ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে মেডিকেল অফিসার এমবিবিএস, ডিএমইউ (আল্ট্রাঃ) এবং গাইনী ও সার্জারী বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তার নূরছালী। যথারীতি অপারেশনের বিষয়টা যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন’র জানতে পারেন। তাৎক্ষনিক তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মোহাম্মদ রশিদুল আলমকে নির্দেশ দেন শাপলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মোহাম্মদ রশিদুল আলম বলেন, সরকারি নিয়মনীতি মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলে কোন সমস্যা নেই। সরকারি নিয়মনীতি না মেনে অন্যায়ের পক্ষ নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলে সরকারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শাপলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেডিকেল অফিসার এমবিবিএস, ডিএমইউ (আল্ট্রাঃ) এবং গাইনী ও সার্জারী বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তার নূরছালী। তিনি যে তার নামের সাথে এমবিবিএস, ডিএমইউ (আল্ট্রাঃ) পদবী ব্যবহার করেছে এটা ঠিক আছে। তবে এমবিবিএস, ডিএমইউ (আল্ট্রাঃ) সাথে কেউ গাইনী ও সার্জারী বিষয়ে অভিজ্ঞ পদ ব্যবহার করে অপারেশন করবে এটা ঠিক নয়। যে ব্যক্তি এমবিবিএস, ডিএমইউ (আল্ট্রাঃ) পদ ব্যবহার করবে সেই একই ব্যক্তি গাইনী ও সার্জারী বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে পারবে না। আমি উক্ত প্রতিষ্ঠানের অপারেশন থিয়েটারের গিয়ে তাদের যন্ত্রপাতি অগোছালো পাওয়া যায়। কিন্তু শাপলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ উদ্দীনকে ক্রমাগতই সরকারি অনুমোদন বিহিন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বন্ধ করতে বলা হলেও তিনি আমাদের কথা শোনেন না। ইতি পূর্বে তার (মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ উদ্দীন) অবৈধ প্রতিষ্ঠান সালেহা ক্লিনিক ও পুলেরহাটে সততা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক দু’টি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে এবং বর্তমানে তার এই প্রতিষ্ঠানটিও পূর্বের ন্যায় একই ধারায় চলছে।
এসময় তার সাথে ছিলেন, উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর গণপতি বিশ্বাস, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ কামরুজ্জামান, থানার এসআই (নিঃ) সুমন বিশ্বাস, সাংবাদিক আফজাল হোসেন চাঁদ, শাহাবুদ্দিন মোড়ল সহ আরো অনেকে।
Leave a Reply