১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

ছদ্মবেশে বিমানবন্দরে বিমান প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোনাই নিউজ : একজন মাওলানা সাহেবের সন্তান বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। হবিগঞ্জের মাধবপুরের সন্তান নিজেকে একটু ভিন্নভাবেই মেলে ধরতে চান। মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর থেকেই নিজেকে অসামান্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মাহবুব আলী। এ পর্যন্ত তার দায়িত্বানুভূতি ও সক্রিয়তায় অনেকেই ভড়কে গেছেন। ছদ্মবেশে বিভিন্ন বিমানবন্দরও করেছেন পরিদর্শন। এসব করছেন কোনো প্রটোকল ছাড়াই। যাত্রী সেজে গত ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তিনি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। বিমানবন্দর ও বিমানসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনবার পরিদর্শনে গেছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী। এর একটিতে তিনি কাউকে না জানিয়ে নিজের পরিচয় গোপন রেখে গিয়েছেন। মঙ্গলবারও তিনি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। এটাও বলতে গেলে ছিল ঝটিকা পরিদর্শন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশনায় চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার হঠাৎই তিনি শাহজালালে অবতরণ করেন। অপরদিকে কয়েকদিন আগে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত বিমানের জেলা বিক্রয় অফিস পরিদর্শনে তিনি নিজের পরিচয় গোপন রাখেন। যাত্রীর পরিচয়ে সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।

বিমান সূত্র জানায়, কোনো প্রকার প্রোটকল ছাড়া শুধু নিজের ড্রাইভারকে নিয়ে ছদ্মবেশে মতিঝিলে বিমানের জেলা বিক্রয় অফিস পরিদর্শনের সময় প্রায় ৩০ মিনিট গ্রাহক সেজে বসে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। বিমানকর্মীরা বুঝে ওঠার আগেই তিনি স্থান ত্যাগ করেন। সেখানে সেবাদানের ধীরগতি এবং বিমানকর্মীদের সিটে না থাকার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী।
বিপণন বিভাগের বিভিন্ন দিক ও বিভাগে অনিয়ম দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে মন্ত্রণালয়ে তলব করেছেন তিনি। ফলে প্রতিমন্ত্রীর গোপন সফরের ভয়ে বিমানবন্দরে কার্যরত বিভিন্ন সংস্থা ও এয়ারলাইেন্সর কর্মকর্তা কর্মচারীরা আতঙ্কিত।

এদিকে, মঙ্গলবার সকালে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান, মেম্বার (অপস) এয়ার কমডোর মোস্তাফিজুর রহমান ও বিমানের এমডি ক্যাপ্টেন মোসাদ্দিক আহমেদকে নিয়ে শাহআমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। পরিচালক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জাহান তাদের অভ্যর্থনা জানান।

এরপর শাহআমানত বিমানবন্দর সম্পর্কে গত এক বছরের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রীকে ব্রিফিং দেন পরিচালক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জাহান।

ব্রিফিং শেষে প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরে থাকা মাস্কটগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী তাদের কোনো সমস্যার কথা জানতে চাইলে কয়েক যাত্রী বিমানবন্দরের সার্বিক সেবার মান মোটামুটি সন্তোষজনক বলে অভিমত প্রকাশ করেন। এরপর প্রতিমন্ত্রী প্রত্যেক বিভাগ ঘুরে টয়লেটে গিয়ে দেখতে পান ময়লা ও টিস্যু পেপার নেই। এখানে দাঁড়িয়ে তিনি এ সমস্যা দূরীকরণের জন্য আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় মাহবুব আলী শাহআমানত বিমানবন্দরে কার্গো কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ ও মাস্টারপ্ল্যান তৈরির পরামর্শ দেন।

বিকেলে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেও একইভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী।

দুই বিমানবন্দরেই টয়লেট অপরিষ্কার, যাত্রীসেবা, বিমানের সময়সূচি ও লাগেজ ডেলিভারি দেয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু অনিয়ম দেখতে পেয়েছেন তিনি। কর্মকর্তাদের ডেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনিয়ম বন্ধ করে আদর্শমান নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। যদি কোনো যাত্রীর কাছ থেকে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অভিযোগ তার কানে যায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।