মোঃ আলমগীর হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি,,
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টায় সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভপতিত্ব করেন হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। সভায় করোনা সংশ্লিষ্ট কাজে নানান অনিময়মের অভিযোগ উঠে এবং অভিযোগ তদন্তের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতি
মাসে সভা হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ প্রায় ১৭ মাস পর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হলো।
সভার শুরুতেই তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সভা হওয়ার কথা মাসে একবার। তা করা না গেলে দু’মাস পর একবার সভা হতে হবে। ১৭ মাস পর সভা কেন? স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি। এরপর শুরু হয় এজেন্ডা অনুযায়ী আলোচনা।
সভার সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সভার এক পর্যায়ে বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে করোনার নমুনা দিতে যারা এসেছেন তাদের কাছ থেকে নিয়ম অমান্য করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। কেন্দ্রে এসে নমুনা দিতে হলে ১শ’ টাকা নেয়ার সরকারী নিয়ম থাকলেও যারা নমুনা দিয়েছেন তাদের প্রায় সকলের কাছেই ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কিংবা তারও বেশী টাকা নেয়ার অভিযোগ আছে। তাছাড়া চলতি মাসে নমুনা দিতে আসা দরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়া যাবে না এমন নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয় নি। সকলের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. এএসএম মারুফ হাসান বলেন, চলতি মাসের টাকা হাতে আছে। নমুনা বাবদ যে টাকা পাওয়া গেছে তা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
এসময় সভা থেকে প্রস্তাব ওঠে, নমুনার টাকার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হওয়া দরকার। পরে, সর্বসম্মতিক্রমে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিককে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে একটি জরুরি সভার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন। সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ওই আহ্বায়ক কমিটি পরবর্তীতে করোনাকালীন সকল বিভিন্ন বিষয় মনিটরিং করতে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেহ্ আকরাম, পৌরসভার ১নং প্যানেল মেয়র সুলতানা আঞ্জু রত্না, দেলোয়ার উদ্দিন দুলু, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, জাহীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাবিলা রুকসানা ছন্দা, পরিবার পরিকল্পনার উপ পরিচালক দীপক কুমার সাহা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, সদর হাসপাতালের সিনিয়র সার্জারী কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন, সিনিয়র গাইনী কনসালটেন্ট ডা. আকলিমা খাতুনসহ জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply